Subscribe:
Showing posts with label হেলথ টিপস. Show all posts
Showing posts with label হেলথ টিপস. Show all posts

কোনটি খাবেন? গ্রিন টি নাকি রং চা?

ঘুম থেকে উঠেই কিংবা কাজের ফাঁকে একটু চা না হলে কি চলে? স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আমরা অনেকেই দুধ চা এড়িয়ে যাই। কিন্তু রং চা (লিকার টি) এবং গ্রিন টির মধ্যো কোনটি বেশি ভালো হবে শরীরের জন্য এই ভাবনা থেকে মুক্তি দিতে দুই ধরনের চায়ের গুণাগুণের কথা বলেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নার নাহিদ।



গ্রিন টি
ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টির জুড়ি নেই। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। বেশি পরিমাণে গ্রিন টি পান করা ক্ষুধামন্দার কারণ হতে পারে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের জন্যও গ্রিন টি কার্যকর।


রং চা
এটিও শরীরের জন্য ভালো। তবে গ্রিন টির তুলনায় কম কার্যকর। যেহেতু এতে অনেকেই চিনি মেশান, তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা কমে যায়। এটিও ত্বকের জন্য ভালো। তবে যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাদের জন্য এই দুই ধরনের চা খাওয়াই মানা। স্বাস্থ্যকর চা পানের নিয়ম হলো দিনে ২ বার চা পান করা। অনেকের চা পান করলে ঘুমের সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে চা পান করা উচিত, যাতে করে ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে।

বন্যার রোগবালাই


বন্যার সময় টিভি, পত্রিকা—সব জায়গাতেই চোখে পড়ছে দেশের বন্যাপীড়িত মানুষদের দুর্দশার ছবি। অসহায় শিশু ও নারীদের অমানবিক জীবনযাপন। পানিবাহিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগসহ নানান কারণে বন্যাপীড়িত মানুষদের মাঝে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যবিপর্যয়, বিশেষ করে শিশুরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। অনেক জায়গায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যার পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে শুরু করে রোগব্যাধি। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ নানা ধরনের ব্যাধিতে এখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

বন্যায় পানিবাহিত রোগ ও সচেতনতা
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পানি যখন নেমে যায়, তখন এসব রোগবালাই বেশি দেখা দেয়। এ সময় সুষ্ঠু পানিনিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে এ স্বাস্থ্যসমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। যখন পানি থাকে তখন পানিপ্রবাহের কারণে জীবাণুর আক্রমণ ঘটতে পারে না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, অনেকেই নদীর আশপাশে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। মানুষের এ পয়োবর্জ্য এবং ওই এলাকার বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা মিলে জলাশয়ের পানি দূষিত হয়ে পড়ে। লোকজন তখন যদি এসব জলাশয়ের পানি বিশুদ্ধ না করে পান করে, খাবারের কাজে ব্যবহার কিংবা থালাবাসন ধোয়া, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করে, তখন ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগবালাই হতে পারে। দেশের সব জায়গায় পানিবাহিত রোগ একসঙ্গে ছড়ায় না। একই সঙ্গে সব মানুষ রোগে আক্রান্তও হয় না। ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কতটুকু, তার শরীরে কতগুলো জীবাণু প্রবেশ করল এবং সে কী ধরনের পরিবেশে থাকে, রোগ হওয়ার হার—এসবের ওপর নির্ভর করে।
আমাদের শরীর যদি এ তিনটির ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারে, তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত রোগ। খাবারের মাধ্যমে এ জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। তবে বন্যা বা বন্যাকালীন মূলত দূষিত পানি পান আর অপরিচ্ছন্নতার কারণেই রোগবালাই বেশি হয়।

চিকিৎসা ও করণীয়
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়৷ লবণ ও পানির অভাব পূরণ করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়, তা যদি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, মানুষ তখনই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি দেখা দিলে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সময়মতো লবণ-পানি শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া গেলে মৃত্যুভয় থাকে না। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য বিশুদ্ধ পানীয় পান করালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। যে বয়সের জন্য যে খাবার স্বাভাবিক, তা–ই খাওয়াতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রোগীকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাসায় বা হাসপাতাল যেখানেই চিকিৎসা নেন, সে জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। মশা-মাছি কলেরা ও ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ছড়ায়। খাবার ঢেকে রাখলে কলেরা ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। পচা বা বাসি খাবার খাওয়া এবং বন্যার পানিতে মল ত্যাগ করা যে ক্ষতিকর, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তুলুন৷ প্রতিদিন খাবারের আগে ও পায়খানা থেকে ফেরার পর সাবান দিয়ে দুই হাত ভালো করে ধুতে হবে। সাবান না থাকলে ছাই, মাটি বা পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা খুবই সহজ। তাই সচেতন থাকলেই ডায়রিয়া বা এ ধরনের পানিবাহিত মারাত্মক রোগ এড়ানো সম্ভব।

যেভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন
পানির কারণেই রোগ হয় বলে আগে থেকেই বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে রাখা উচিত। এতে দুর্যোগের সময় ও পরবর্তী সময়ে এই পানি ব্যবহার করা যাবে। পানি সংগ্রহ করা না গেলে পানি বিশুদ্ধ করার উপকরণ যেমন বিশুদ্ধকরণ বড়ি, পানি ফোটানোর জন্য জ্বালানি ইত্যাদি ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সাবান, পরিষ্কার পানির পাত্র ইত্যাদিও সংগ্রহ করতে হবে। এই সময়ে যেসব ওষুধ সঙ্গে রাখতে পারেন, প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, টেট্রাসাইক্লিন, কৃমিনাশক বড়ি এবং বেনজাইল বেনজোয়েট মলম চর্মরোগের জন্য।

পানি বিশুদ্ধ করবেন যেভাবে
যেহেতু দূষিত পানি ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে এ রোগ হয়, তাই কষ্ট করে হলেও বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার করতে হবে। টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পাওয়া না গেলে বিভিন্ন জলাশয়ের পানি পান ও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জলাশয়ের পানি পান ও খাওয়ার কাজে ব্যবহার করতে চাইলে ফুটিয়ে পান করতে হবে। জলাশয়ের পানি ১০ মিনিট ফুটিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে এর বেশির ভাগ জীবাণু মরে যায়। পানি ফোটানোর পর ঠান্ডা করে কিছুক্ষণ রেখে দিলে দৃশ্যমান জীবাণু নিচের তলানিতে পড়ে যায়। তলানি ফেলে দিয়ে ওপরের পানি ব্যবহার করা যাবে। তবে প্রতিকূল পরিবেশ ও অন্যান্য কিছু কারণে সব জায়গার পানি ফোটানো সম্ভব হয় না। সেসব জায়গায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই সময়ে নানা চর্ম সমস্যা
বন্যার পানিতে গোসল কিংবা গায়ে লাগানো থেকে যতটুক পারুন বিরত থাকুন। কেননা এই পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এই পানির স্পর্শে বিভিন্ন চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে–পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে৷
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা খাতুন বলেন, এই সময়ে যে কটি চর্মরোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ অন্যতম। এ সমস্যা এড়াতে হলে গায়ে ভেজা কাপড় রাখবেন না, হাত–পা ভালো করে ধুয়ে শুকনা কাপড়ে মুছে রাখবেন।
এ সময়ে ছত্রাকজনিত দাদ, ছুলি, ক্যানডিডিয়াসিস হতে পারে। এদের মধ্যে ছুলির কারণে ত্বকে দেখতে সাদা হয়। তাই অনেকেই আবার একে শ্বেতী ভাবতেও শুরু করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শ্বেতীর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

বন্যায় ডুবে যাওয়া টিউবওয়েলের পানি পুনরায় খাওয়ার আগে যা করবেন
যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গিয়েছিল, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে কোনো অবস্থাতেই পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এই কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন। তাহলে সেই টিউবওয়েলের পানি পানের জন্য নিরাপদ হবে। মনে রাখবেন, কোনো ক্রমেই বন্যায় ডুবে গিয়েছিল এমন টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো শোধন না করে পান করবেন না। এতে পানিবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

সাপে কাটলে
বন্যায় বিষাক্ত পোকামাকড় যেমন সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি তাদের আবাস হারিয়ে উঁচু জায়গা খুঁজতে থাকে, আর ঢুকে পড়ে মানুষের আবাসস্থলে। তখনই ঘটে সাপে কামড়ানোর ঘটনা। তবে কার্বলিক অ্যাসিডের বোতলের ছিপি খুলে ঘরের কোণে রাখলে ঘরে সাপ ঢুকবে না। ঘরের চারপাশে পানি এলে বেড়া বা দেয়ালের ধার ঘেঁষে ওষুধ ছিটাতে হবে। এতে ব্যাঙ ও বিভিন্ন রকম বিষাক্ত পোকামাকড় ঘরে ঢুকতে পারবে না।
আর বিষধর সাপের কামড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। ওঝা বা বেদের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা করা, রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করা এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা না করানোর ফলে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যায়।

যা করবেন
সাপে কাটলে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে বসে থাকুন। আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াচাড়া করবেন না। একটি লম্বা কাঠ ও কাপড়ের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানটি বেঁধে ফেলুন। খুব বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না, এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন আক্রান্ত অঙ্গ ও কাপড়ের মাঝে কষ্ট করে একটি আঙুল ঢোকানো যায়।
আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে, রক্তক্ষরণ হলে, চোখের পাতা পড়ে গেলে, ঘাড় শক্ত রাখতে না পারলে, হাত-পা অবশ হয়ে এলে ও শ্বাসকষ্ট হলে একটুও দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত নির্বিষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত স্থানে সামান্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা অল্প ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এসব লক্ষণ থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, যেকোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, সাপ কামড়ানোর চিকিৎসা শুধু হাসপাতালেই করানো সম্ভব, অন্য কোথাও নয়।

যা করবেন না
* আক্রান্ত স্থান কাটা
* দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা
* আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা
* আক্রান্ত স্থানে গোবর, শিমের বিচি, আলকাতরা, ভেষজ ওষুধ বা কোনো প্রকার রাসায়নিক লাগানো
* অ্যান্টিহিস্টামিন ইনজেকশন প্রয়োগ করা
* কার্বলিক অ্যাসিড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে দংশিত জায়গা পোড়ানো
* গাছ–গাছড়ার রস দিয়ে প্রলেপ দেওয়া

ছত্রাক থেকে দূরে থাকা যায় কীভাবে
ত্বকে ফাঙ্গাস বেড়ে ওঠার পরিবেশ সৃষ্টি হলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে চেষ্টা করবে। তাই ফাঙ্গাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে পা, আঙুলের ফাঁক, যৌনাঙ্গ ও এর পাশের ত্বক, নখের গোড়া ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আর ত্বক পরিষ্কার বা ধোয়ার পর শুষ্ক টাওয়েল দিয়ে ভেজা স্থান মুছে শুষ্ক করে ফেলতে হবে। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক, ঊরুসন্ধির ভাঁজ, বগল, ঘাড়, মাথার চুল ইত্যাদি পুরোপুরি শুকনো না করলে সেখানে ফাঙ্গাস বেড়ে উঠতে পারে।

এই সময়ের সচেতনতা
জামাকাপড় ভিজে গেলে দ্রুত পাল্টে নিন। ভেজা কাপড় পরে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
নিয়মিত প্রয়োজনে দিনে দুবার গোসল করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ঘামে বা বৃষ্টিতে বা বন্যার পানিতে ভিজলে ত্বক ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
রাস্তায় বা বাড়ির আশপাশে এখন যত্রতত্র নোংরা পানি জমে আছে। পায়ের ত্বককে এই নোংরা পানি থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেননা এই পানিতে রয়েছে হাজার রকমের জীবাণু।
বাড়িতে কারও ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকলে শিশুদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।

স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া
এটি ত্বকের ছোঁয়াচে রোগ। যে কেউ যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে এই সময়ে অর্থাৎ বন্যাকালীন এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবার এমনকি ঘনবসতিপূর্ণ ঘরে একত্রে বসবাস করলে তাদের মধ্যে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চুলকানি হলো প্রধান উপসর্গ আর রাতে সেই চুলকানি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে। অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে একসঙ্গে বিছানায় শুইলে কিংবা ব্যবহার করা কাপড় অন্য কেউ ব্যবহার করলে খুব সহজেই এ রোগ ছড়াতে পারে। কারণ, জীবাণুটি ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্যে দুই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। শিশু-কিশোরেরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
অন্যান্য রোগও কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে কিছু সাধারণ নিয়মকানুন যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মিত গোসল ইত্যাদি মেনে চললে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
লেখক: চিকিৎসক

যে ৫টি খাবারে পুরুষের যৌবন ধরে রাখে আজীবন!!


সুস্থ থাকতে কে না চায়। আজীবন যৌবন ধরে রাখার জন্য পুরুষরা নানা পথ্য খান। তবে সুস্থ থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর শাক-সবজি। শাক-সবজিতে রয়েছে পুষ্টিকর খাবার। সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।
নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার। তবে তা হতে হবে ফরমালিন মুক্ত। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষদের সবদিক থেকে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যৌবন ধরে রাখে আজীবন। নিজের যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দেয়া দরকার। এমন ৫টি খাবারের কথা বলা
হলো যা আপনার জীবন ও যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন। জেনে নিন, কি সেই সব খাবার-
১. মিষ্টিকুমড়ার বিচি : এতে আছ প্রচুর সাইটোস্টেরোল। এটি পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষের শক্তি বাড়ায়। পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২. আমলা : আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় একে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র বলে গণ্য করা হয়। পুরুষের শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতেও দারুণ সহায়ক।
৪. রসুন : অনেকেই বলে থাকেন রসুন কেবলমাত্র ঠাণ্ডা-সর্দির জন্য ভালো। ধারণাটা ভুল। এতে আছে অ্যালিসিন, যা রক্তপ্রবাহ সৃষ্টি করে সুস্থতা রাখে।
৫. কলা : ফলটি শারীরিক সক্ষমতাকে হ্রাস করে। এটি এমন এক ফল যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে স্ট্রোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে খাবার যা-ই খান কেন নিজেকে উৎফুল্ল না রাখলে কোনোভাবেই জীবন-যৌবন ধরে রাখতে পারবেন না।
সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি রাখুন, বিষন্নতা কোনোভাবেই ধারে-কাছে ভিড়তে দেবেন না। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন, দেখবেন এমনিতেই আপনার মনটা ভরে গেছে। ঘুমের ক্ষেত্রে কিন্তু কার্পণ্য করবেন। – টাইমস অব ইন্ডিয়াসুস্থ থাকতে কে না চায়। আজীবন যৌবন ধরে রাখার জন্য পুরুষরা নানা পথ্য খান। তবে সুস্থ থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর শাক-সবজি। শাক-সবজিতে রয়েছে পুষ্টিকর খাবার। সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই।
নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দেয়া দরকার। তবে তা হতে হবে ফরমালিন মুক্ত। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষদের সবদিক থেকে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যৌবন ধরে রাখে আজীবন। নিজের যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দেয়া দরকার। এমন ৫টি খাবারের কথা বলা
হলো যা আপনার জীবন ও যৌবনকে ধরে রাখবে আজীবন। জেনে নিন, কি সেই সব খাবার-
১. মিষ্টিকুমড়ার বিচি : এতে আছ প্রচুর সাইটোস্টেরোল। এটি পুরুষের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড পুরুষের শক্তি বাড়ায়। পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২. আমলা : আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় একে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা মন্ত্র বলে গণ্য করা হয়। পুরুষের শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতেও দারুণ সহায়ক।
৪. রসুন : অনেকেই বলে থাকেন রসুন কেবলমাত্র ঠাণ্ডা-সর্দির জন্য ভালো। ধারণাটা ভুল। এতে আছে অ্যালিসিন, যা রক্তপ্রবাহ সৃষ্টি করে সুস্থতা রাখে।
৫. কলা : ফলটি শারীরিক সক্ষমতাকে হ্রাস করে। এটি এমন এক ফল যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকলে স্ট্রোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে খাবার যা-ই খান কেন নিজেকে উৎফুল্ল না রাখলে কোনোভাবেই জীবন-যৌবন ধরে রাখতে পারবেন না।
সর্বদা নিজেকে হাসি-খুশি রাখুন, বিষন্নতা কোনোভাবেই ধারে-কাছে ভিড়তে দেবেন না। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন, দেখবেন এমনিতেই আপনার মনটা ভরে গেছে। ঘুমের ক্ষেত্রে কিন্তু কার্পণ্য করবেন। – টাইমস অব ইন্ডিয়া

ওষুধ নয়, চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনবে এই ৫ খাবার!!


চুল নিয়ে সব চাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়েরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। বংশগত, পরিবেশগত, দুশ্চিন্তা, পুষ্টিহীনতা স্ট্রেস ইত্যাদি নানা কারণে চুল পড়তে পারে। প্রথম দিকে চুল কম পড়লেও আস্তে আস্তে চুল পড়ার হার অনেক বেড়ে যায়। তাই শুরু দিকে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হলে, চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব
আপনি কি চুল পড়ার সংখ্যা গুনতে গুনতে হয়রান হয়ে গেছেন? আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণত মানুষের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই চুল পড়তে থাকে। চুল পড়া প্রতিরোধে ওষুধ নয় বরং নিয়মিতভাবে এই পাঁচটি খাবার খান। এতে আপনার মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়বে। এবং চুল ভেঙ্গে যাওয়া এবং চুল পড়াও কমবে।
১. বাদাম এবং বীজ
পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।
২. ডাল
নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।
৩.স্পিনাক
এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।
৪. ডিম
ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।
৫. চর্বিবহুল মাছ
স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি
১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি

কোন রাশির মানুষ কি খাবার খেতে পছন্দ করে?


আমরা সবাই মানুষ। আমাদের পছন্দ একেক জনের এক এক রকম। কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাসে কি কোনও মিল আছে? একেবারেই নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে কেউ বিরিয়ানি খেতে ভালবাসে, আবার কেউ চাইনিজ ফুড। আবার অনেকে ঝাল-মশাল ছাড়া সেদ্ধ খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। মানুষ ভেদে খাবারের পছন্দ কেন বদলে যায়। মানুষের খাবারের প্রতি এই ভাল লাগা-মন্দ লাগা, অনেকাংশেই নির্ভর করে তার রাশির উপর। রাশি ভেদে নাকি খাবারের প্রতি পছন্দ-অপছন্দও বদলে যায়।
দেখে নিন, আপনার রাশি অনুযায়ী পছন্দের তালিকায় কি কি খাবার রয়েছেঃ
১। মেষরাশিঃ এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব চঞ্চল মনের অধিকারী হয়ে থাকে। তাই তো সহজে তৈরি হয়ে যায় এমন খাবার খেতে এরা বেশি পছন্দ করেন। কব্জি ডুবিয়ে, পেট ভরে খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই নেই এই রাশির অধিকারিদের। তবে ঝাল খাবার খেতে এরা খুব পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখতে এদের ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দেওয়াটা জরুরি।
২। বৃষরাশিঃ এরা চটজলদি খেতে একেবারেই পছন্দ করেন না। বরং সময় নিয়ে, উপভোগ করতে এরা বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। শুধু তাই নয়, ভোজন রসিক বলে পরিচিত এই রাশির জাতক-জাতিকারা মিষ্টি এবং মশলদার খাবার খেতে খুব ভালবাসেন। সেই কারণেই তো মোটা মানুষদের তালিকায় এরা সবথেকে উপরের দিকে থাকেন।
৩। মিথুনরাশিঃ পেট ভরানোটাই মূল লক্ষ্য, কী পেটে যাচ্ছে তা নয়- এই নীতিতেই বেশি বিশ্বাস করেন মিথুনরাশির জাতক-জাতিকারা। তবে খাবার সময় ভাল মানুষের সঙ্গে পেতে এরা মুখিয়ে থাকেন। খাদ্য রসিক না হলেও প্রতিদিন আলাদা আলাদা রকমের খাবার খেতে এরা খুব পছন্দ করেন।
৪। কর্কটরাশিঃ রান্না করতে যেমন ভালবাসেন, তেমনি খেতেও এদের জুড়ি মেলা ভার। এক কথায় খাদ্য রসিক হিসেবে এদের বেশ সুনাম রয়েছে। বলা যেতে পারে, কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা যেমন খেতে ভালবাসেন, তেমনি খাওয়াতেও সমানভাবে ভালবাসেন।
৫। সিংহরাশিঃ খেতে ভালবাসেন কিন্তু রান্না করতে একেবারে পছন্দ করেন না। তাই তো ভাল রেস্টুরেন্টে এদের যাতায়াত লেগেই থাকে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে চুটিয়ে খানাপিনা করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। নানা স্বাদের খাবার টেস্ট করতে এরা সদা প্রস্তুত থাকলেও পুষ্টির ঘাটতিজনিত সমস্যায় এরা খুব ভুগে থাকেন।
৬। কন্যারাশিঃ এরা খাবারের বিষয়ে বেশ “চুজি” হন। কারণ এই রাশির জাতক-জাতিকাদের কাছে শরীরের থেকে আগে কিছু নেই। শরীর ঠিক রাখতে যে কোনও পর্যায়ে গিয়ে ডায়েট করতেও এরা প্রস্তুত থাকেন। তবে রান্নায় এরা বেশ পটু হন। স্বাস্থ্যকর খাবার যে কোনও মূল্যে কিনতে এরা রাজি থাকেন। তবে কন্যারাশির জাতক-জাতিকাদের হজম ক্ষমতা খুব একটা ভাল হয় না। তাই তো সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়াই এদের উচিত।
৭। তুলারাশিঃ এরা মূলত মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন। আর খাবারের ক্ষেত্রে সব খাবারই অল্প অল্প করে খেয়ে দেখতে এরা পছন্দ করেন। কিন্তু যখনই এদের সামনে ডেজার্ট পরিবেশন করা হয়, তখনই এদের আসল মূর্তিটা বেরিয়ে আসে। পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাঙ্গে খাবার খেতে এরা ভালবাসেন।
৮। বৃশ্চিকরাশিঃ যে কোনও সময় ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেতে এরা প্রস্তুত থাকেন। তবে মশলাদার খাবারের প্রতি এদের এই ভালবাসার কারণে মাঝে মধ্যে অসুস্থও হয়ে পরেন। এত ঝাল খেলে কী আর শরীর সুস্থ থাকে। তাই তো বৃশ্চিকরাশির অধিকারিদের স্পাইসি খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেশি করে জল খেতে হবে। যাতে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
৯। ধনুরাশিঃ নিত্য-নতুন স্বাদের খাবার চেখে দেখতে এরা ভালবাসেন। তবে পছন্দের খাবারের কথা যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে এরা ঝাল খাবার খেতেই মূলত ভালবাসেন। তবে এদের বদ অভ্যাস হল পছন্দের খাবার সামনে পেলে পেটপুরে খেয়ে নেন। কব্জি ডুবিয়ে খেতে যেমন এরা ভালবাসেন তেমন মাত্রা ছাড়া মদ্যপান করতেও পিছপা হন না। সেই কারণেই দেখবেন ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরল এবং হার্টের রোগে যারা ভুগছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ধনুরাশির জাতক-জাতিকা হন।
১০। মকররাশিঃ স্বাদ এবং খাবারের মান, এই দুটি জিনিসকে এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। একথায়, “কম খাব কিন্তু ভাল খাব”- এই নীতিতে বিশ্বাস করেন মকররাশির অধিকারিরা। তাই তো এরা বাড়ির খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার এদের একেবারেই পছন্দ হয় না।
১১। কুম্ভরাশিঃ মাংস নয়, এরা সবজি এবং ফল খেতেই বেশি ভালবাসেন। তাই তো কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরামিষাশী হয়ে থাকেন। তবে এদের খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত সব থেকে খারাপ অভ্যাস হল, এরা খুব রাত করে খেতে ভালবাসেন।
১২। মীনরাশিঃ পরিবারের সঙ্গে এক সাথে বসে খাবার খেতে এরা খুব ভালবাসেন। শুধু তাই নয়, ভালবাসার মানুষদের খাওয়াতেও এরা খুব পছন্দ করেন। তবে সমস্যাটা হল এরা একেবারে পানি পান করতে চান না। ফলে নানাবিধ শরীরিক সমস্যা এদের লেগেই থাকে।

মেয়েদের টক খেতে বলা হয় কিন্তু ছেলেদের খেতে নিষেধ করা হয় কেন? অবাক করা তথ্যটি জেনে নিন!!

 
তেঁতুল একটা উপকারী ফল।এটার অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। ছেলেদের নিষেধ আর মেয়েদের খেতে হবে বিষয়টা এমন নয় ।বরং এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিউপাদান যেমন,
জলীয় অংশ (গ্রাম) ২০.৯
মোট খনিজ পদার্থ (গ্রাম) ২.৯
আঁশ (গ্রাম) ৫.৬ – ১.০
খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ২৮৩
আমিষ (গ্রাম) ৩.১
চর্বি (গ্রাম) ০.১
শর্করা (গ্রাম) ৬৬.৪
ক্যালসিয়াম (মিলিগ্রাম) ১৭০
আয়রন (মিলিগ্রাম) ১০.৯ – ১.০
ক্যারোটিন (মাইক্রোগ্রাম) ৬০
ভিটামিন বি১ (মিলিগ্রাম) –০.০১
ভিটামিন বি ২ (মিলিগ্রাম) ০.০৭
ভিটামিন সি (মিলিগ্রাম) ৩ ৬
এটা খেলে রক্ত পানি হয়ে যায় এমন ধারনা অনেকে করে তবে সেটা ভুল।এটা ছেলেদের ও উপকার করে মেয়েদেরও করে।
তবে কোন এক অজানা কারনে এটা অন্য প্রানী যেমন ষাঁড়ের যৌন ক্ষমতা কমাতে এটা ব্যাবহৃত হয়।তবে গবেষনায় দেখা যায়
তেঁতুল পুরুষ মানুষের যৌন ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে, আর মেয়েদের জন্যও এটা অনেক কাজের কারন এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি
যা তাদের দেহের ক্ষত পুরুনে সাহায্য করে আর মেয়েদের শরীরে বেশী ক্ষত হয় বিশেষ করে প্রতিমাসে তো হয়ই, আর প্রেগনেন্সির
সময় এটা খেলে মুখের রুচি ফিরে নিয়ে আসে ফলে মায়ের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে ,এবং রক্তের চর্বি কমানোর মাধ্যমে মায়ের ও বাচ্চার রক্তচলাচল ঠিক রাখে।
তাই এটা কারো জন্য আর নিষেধ নয় বরং সীমার মধ্যে হলে সবারই খাওয়া যাবে।
এটা প্রচলিত গ্রাম্য কুসংস্কার মাত্র। টক খাবারে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে যা আমাদের জন্য জরুরী তাই পরিমিত টক ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই উপকারী। ডাক্তারি মতে সবার জন্যই প্রয়োজনীয় টক খাওয়া উচিৎ।
তবে বেশি পরিমানে খেলে সেটা laxative হিসেবে কাজ করতে পারে,যা সুস্থ ছেলে বা মেয়ের জন্য সমস্যার কারন হতে পারে।

ওষুধ নয়, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না এই ফল খেলে!


ডালিম বা বেদানা। এই ফলটা আমরা হামেশাই খেয়ে থাকি। কিন্তু এই ফলের যে কত উপকারিতা রয়েছে তা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। সমীক্ষকেরা জানিয়েছেন যে, এই ডালিম বা বেদানায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা আমাদের পেশির শক্তি বাড়ায় এবং এই উপাদান আমাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

দাঁতকে হীরের মত চকচকে ও পরিষ্কার রাখার সবথেকে সহজ উপায়


দাঁতের নানান সমস্যা সমাধানের সবথেকে সহজ পথ। দাঁতের গোঁড়া দুর্বল আর সেখান থেকে রক্তপাত, কোনও ঠাণ্ডা জিনিস দাঁতের সংস্পর্শে এলেই শিরশিরিয়ে উঠছে দাঁত কিংবা শক্ত কিছু জিনিস দাঁতে কাটতে গেলে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে, এছাড়াও দাঁত পরিষ্কার না থাকার কারণে বিশ্রী গন্ধ-সব সমস্যার সমধান এক চুটকিতে। কোনও ওষুধ নয়, নতুন কোনও পেস্টও নয় কাজ হবে ভেষজ দাওয়াইতে।
‘Sage Leaves’, বাংলায় যাকে বলা হয় ঋষি পাতা। দু থেকে তিনটি পাতা রোজ চিবিয়ে নিলেই দাঁতের যাবতীয় সমস্যা নিমেষেই উবে যাবে। দুর্গন্ধ থেকে মাড়ির যন্ত্রণা ঋষি পাতার রস কাজ করে টনিকের মত। ঋষি পাতার রসে মজুত থাকে ট্যানিক অ্যাসিড, ইউরোসলিক অ্যাসিড, কারনোসিক অ্যাসিড, ফিউমারিক অ্যাসিড যা মুখের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি থ্রোট ক্যান্সারেরও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে সেজ পাতা।

মাথার চুল বৃদ্ধি বা নতুন চুল গজানোর একটি অবিশ্বাস্য পদ্ধতি


বলা হয়ে থাকে চুল মানুষের সৌন্দর্যের আধার। চুল পড়ে গিয়ে টাক হয়ে যায়। সব বয়সের লোকদের কমবেশি চুল পড়ে থাকে। এমনকি যৌবনেও ঘটে। চুল পড়া একটি সাধারণ রোগ।
চিকিৎসকদের মতে, হরমনের পাশাপাশি প্রোটিন (আমিষ) ও ফ্যাটের (চর্বি) অভাবে মানুষের চুল পড়ে। বাড়িতে বসেই এক বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়ান, চুল পড়া রোধ করুন ও মাথায় নতুন চুল গজান।
দইতে চর্বি ও উচ্চ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। আমিষ ও চর্বিতে পরিপূর্ণ ডিম। এত প্রোটিন অন্য খাবারে পাওয়া যায় না। এ দই ও ডিম মিশিয়ে চুল পরিচর্যার রেসিপি বানানো যায়। চুলের রুক্ষতা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এটা।
বিশেষত বাড়িতে বানানো এই রেসিপি চুল পরিষ্কার করে। শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি চুল গজাতে বেশ কার্যকরী। মোটের ওপর এটি চুলকে প্রাণবন্ত, স্নিগ্ধতা ও কোমল করার জন্য তুলনা নেই। ঝকঝকে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে এই রেসিপি মাথায় খুলিতে ক্যলসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে।
মধুও মাথার চুল বৃদ্ধিতে বেশ কাজে দেয়। এতে উপকারী বেশকিছু উপাদান রয়েছে- যেমন ভিটামিন-ই, কে, সি, বি১, বি২ ও বি৬। আর কলা চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করে।
ডিম, মধু ও বিয়ারের মিশ্রণ আপনার চুল রক্ষায় অবিশ্বাস্য কাজ করে। বিয়ারে ভিটামিন-বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার রয়েছে, যা আপনার চুলকে শক্তিশালী ও চুল গজাতে দারুণ কাজে দেয়।
যেভাবে নতুন চুল গজানোর রেসিপি বানাবেন :
একটি ডিম অথবা এর শুধুমাত্র কুসুম, একটি কলা, এক অথবা দুই কাপ ঘন বিয়ার, এক টেবিল চামচ মধু নিন। এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। এক থেকে দুই ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন। মাথা শুকানোর পর সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাথার চুল বৃদ্ধি বা নতুন চুল গজাতে এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন

এই “জাপানিজ” ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন! যৌবন ধরে রাখুন আজীবন!!


সৌন্দর্যের দিক থেকে জাপানিজ নারীরা সবসময়েই অনবদ্য। বিশেষ করে তাঁদের ঝলমলে চুল এবং নিখুঁত ত্বকের কারণে। এমন অনেক জাপানিজ চিত্রনায়িকা ও মডেলরা আছেন যাঁদের সত্যিকারের বয়স অনেক বেশি, কিন্তু দেখলে মনে হয় এখনও তরুণী! বিশ্বজুড়েই জাপানিজ নারীদের এই চিরতারুণ্য একটা রহস্যের বিষয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁদের এই তারুণ্যের পেছনে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি কাজ করে তা হল ‘ভাত’। কি, অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, জাপানিজদের বয়স ধরে রাখে ভাতের তৈরি একটি ফেস প্যাক। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই জাদুকরী ফেসপ্যাকটির কথা।
উপকরণ –
৩ টেবিল চামচ ভাত
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ গরম দুধ।
যেভাবে তৈরি করবেন –
-চাল সিদ্ধ করুন। অর্থাৎ ভাত রান্না করুন। এবার চাল থেকে পানি আলাদা করে ফেলুন বা মাড় ফেলে দিন।
-গরম ভাত চটকে নিন, নাহলে পরে শক্ত হয়ে যাবে। এর সাথে হালকা গরম বা উষ্ণ দুধ এবং মধু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন –
-প্রথমে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে কোন হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
-মুখ শুকিয়ে গেলে ভাতের প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান।
-প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ভাত সিদ্ধ পানি বা মাড় দিয়ে মুখ ও ঘাড় ধুয়ে ফেলুন।
-সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
যেভাবে কাজ করে –
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বককে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে থাকে ও তারুণ্য ধরে রাখে। তার সাথে সাথে সানবার্নও প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে লিনোলিক এসিড যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ভাতের মাড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা ত্বকের পানির পরিমাণ বজায় রাখার পাশপাশি রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।

নরমাল ডেলিভারি চান? তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় আপনাকে কি করতে হবে!


প্রেগন্যান্সি গ্লো-তে এখন চকচক করছে আপনার চোখ, মুখ। মা হওয়ার অনুভূতি সব সময় আনন্দে রাখছে আপনাকে। চিন্তা শুধু একটা বিষয় নিয়েই। নরমাল ডেলিভারি হবে তো? নাকি সেই কাঁটাছেঁড়ার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে?
চিন্তা করবেন না। যদি আপনার বড়সড় কোনও জটিলতা না থাকে তবে গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিস মেনে চললেই স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।
ডায়েট
আপনি প্রেগন্যান্ট জানার পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট মেনে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার, টাটকা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খান। সেই সঙ্গেই জোর দিন আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর। নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খান। শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে, তত নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে।
অ্যাকটিভ লাইফস্টাইল
অনেকে প্রেগন্যান্সির গোটা সময়টাই শুয়ে বসে কাটিয়ে দেন। এটা একেবারেই উচিত্ নয়। যদি চিকিত্সক আপনাকে বেড রেস্টে থাকতে না বলেন, এবং অন্য কোনও জটিলতা না থাকে তাহলে সচল থাকুন। বাড়ির হালকা কাজকর্ম করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যোগাসন বা হালকা ব্যয়াম করুন। সকাল, সন্ধে হাঁটতে যান। এতে ওজন কম থাকবে, শরীর সুস্থ থাকবে, নরমাল ডেলিভারির চান্সও বাড়বে।
পানি
শরীরে ফ্লুইড চলাচল ভাল হওয়ার জন্য জল খাওয়া খুব জরুরি। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। কাজেই জল বেশি খেলে ডেলিভারিও অনেক সহজ হবে। গর্ভাবস্থায় প্রতি দিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান।
স্ট্রেস
নরমাল ডেলিভারির জন্য শরীর সুস্থ, ঝরঝরে রাখা প্রয়োজন। স্ট্রেস বাড়লেই শরীর খারাপ হবে। নিজেকে সব সময় খুশি রাখুন। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে যান। প্রেগন্যান্সি মাসাজ নিলেও স্ট্রেস কমে।
জন্মের পরিকল্পনা
গর্ভাবস্থার শুরুতেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিকল্পনা করে নিন। আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। ডাক্তারের নির্দেশ, নিয়ম মেনে চলুন। এতে চিন্তা কম হবে। গোটা ব্যাপারটাই অনেক সহজ হয়ে যাবে।
অভিভাবকদের ক্লাস
বাচ্চার জন্মের আগে বাড়ির কাছেপিঠে কোনও পেরেন্টাল ক্লাসে যান। এই সব ক্লাসে কীভাবে সহজে, কম কষ্টে ও কম সময়ে বাচ্চার জন্ম দেওয়া যাবে শেখানো হয়।
যোগব্যায়াম
নরমাল ডেলিভারির জন্য অত্যন্ত উপকারী যোগব্যায়াম। এতে শরীরের পেশি শিথিল থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমনকী স্ট্রেস কমবে। ডেলিভারির যন্ত্রণা কম করতে তাই নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।

পুরুষেরা ত্বকের যত্নে যে ভুলগুলো করে থাকেন!!


ছেলে মেয়ে সবারই কমবেশি ত্বকের যত্ন করতে হয় আর আমরা অনেকেই না জেনে ভুল যত্নও করে থাকি । যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর । তাছাড়া মেয়েদেরই শুধু সাজসজ্জা বা রূপচর্চায় ভুল হয়না পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই ভুল কম নয়। চলুন জেনে নিই পুরুষদের করা সেই ছোট ছোট ভুল গুলো
১। একই সাবান সব কাজে ব্যবহার:
পুরুষরা ত্বকের যত্ন নিয়ে বরাবরই উদাসীন। আর এ কারণে দেখা যায় গায়ে মাখার সাবানই তারা ব্যবহার করে মুখ ধোয়ার জন্য। তবে মেয়েদের মতো পুরুষদের মুখের ত্বকও সংবেদনশীল, তাই মুখ পরিষ্কারের জন্য আলাদা ক্ষারহীন সাবান ব্যবহার করা প্রয়োজন।
পুরুষদের ত্বকের জন্য ‘অ্যাক্টিভেটেড চারকোল’ সমৃদ্ধ ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা সব থেকে উপযোগী। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকে জমে থাকা দূষিত উপাদান ও ব্যাক্টেরিয়া ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে। আর শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের জন্যও কোমল সাবান বা বডি ওয়াশ বেছে নিতে হবে।
২। শেইভিং ফোম ব্যবহার:
শেইভ করার জন্য অনেক ফেনা তৈরি করে এমন ফোম বা ক্রিম সবারই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। তবে এই ফোম ত্বককে কোনোভাবেই সুরক্ষিত রাখতে পারে না। এ কারণেই শেইভ করার পর ফোম ব্যবহারের পরও জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।
তাই শেইভ করার জন্য লোশনজাতীয় শেইভিং ক্রিম যেগুলোতে খুব একটা ফোম তৈরি হয় না তেমন শেইভিং ক্রিম ব্যবহার শুরু করতে হবে। ভালো মানের শেইভিং ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হবে কম এবং ত্বকে লালচেভাবও কম দেখা দেয়।
শেইভের পর অবশ্যই আফটার শেইভ ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আফটার শেইভে অ্যালকোহল না থাকে। কারণ এই উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
৩। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:
দিনে অন্তত দুবার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত এবং প্রতিবার মুখ মুছে ত্বকোপযোগী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
৪। সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা:
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন অত্যন্ত জরুরি। তবে পুরুষদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা নেই বললেই চলে। ঘর থেকে বের হওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।