Subscribe:
Showing posts with label অপরাধ জগৎ. Show all posts
Showing posts with label অপরাধ জগৎ. Show all posts

গলায় ছুরি ঠেকিয়ে এক পুরুষকে যৌন নির্যাতন করার দায়ে সাজা হলো এই তরুণীর !!


গলায় ছুরি ঠেকিয়ে একজন ট্যাক্সিচালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক তরুণীর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ অনলাইন মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম ব্রিটানি কার্টার। আদালতে যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়, তখন তিনি নিজের হাসি থামাতে পারছিলেন না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ফিন্ডলে এলাকার একটি হোটেল থেকে ভোরে বেরিয়ে ব্রিটানি কার্টার ও তাঁর বন্ধু ২০ বছর বয়সী কোরি জ্যাকসন ট্যাক্সি ভাড়া করেন। ট্যাক্সি চলার একপর্যায়ে কোরি চালকের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধরে ট্যাক্সি থামাতে বলেন। ট্যাক্সি থামলে গলায় কোরির ছুরি ঠেকানো অবস্থায় চালকের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সংসর্গ করেন ব্রিটানি। পরে তাঁরা দুজনে চালকের পকেট থেকে ৩২ ডলার লুট করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর ট্রিনিটি এক্সপ্রেস ক্যাব সার্ভিসের ২৯ বছর বয়সী ওই চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। গত এপ্রিলে ব্রিটানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্রিটানি কার্টার দোষ স্বীকার করে বলেছেন, যৌন নির্যাতন করার আগে ট্যাক্সিচালকের গলায় ছুরি ঠেকানো হয়েছিল।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রবার্ট রিং বলেন, ‘ব্রিটানি ওই ট্যাক্সিচালকের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে যৌন নির্যাতন করেছেন। তবে কেন এমন করলেন, তা আমরা জানি না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্যাক্সিচালকের যৌন নির্যাতনের মামলায় ব্রিটানির বন্ধু কোরি জ্যাকসনের দোষ প্রমাণিত হয়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনো অর্থ লুটের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জামিনে আছেন। আগামী নভেম্বরে তাঁর বিচার শুরু হবে।

দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটানির বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে থাকা অবস্থায় নতুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ হাজার পাউন্ড মুচলেকা দিয়ে কোরি জ্যাকসন জামিনে আছেন। ২০ নভেম্বর থেকে তাঁর বিচার শুরু হবে।

অবশেষে জানা গেলে শিশু আলীর নির্যাতনকারী কে!!!


এতিম সন্তান মো. আব্দুল আলী। টলি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। কয়েকদিন ধরে তার প্রচণ্ড জ্বর। গাড়ি চালাতে যেতে পারছে না। এদিকে টলির মালিক মো. পারভেজ তার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। একদিন সকালে তিনি হাজির হয় আলীর বাসায়। ওষুধ কিনে দেয়ার কথা বলে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
তারপর পারভেজ আলীর চোখ বেঁধে ফেলে। শুরু করে শারীরিক নির্যাতন। তিনি শুধু একা নন! তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরো কয়েকজন যুবক। তারা কয়েক দফায় আলীর উপর চালায় নির্মম নির্যাতন।
পরে, তারা বেলা ২টার দিকে তাকে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্যের কাছে রেখে চলে যায়। কিন্তু ইউপি সদস্য নোমান শিশুটির মৃত্যুর আশঙ্কায় তাকে অপর একজনকে দিয়ে তার বাড়ির পাশে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসেন।
বুধবার (২৫ জুলাই) কুলাউড়া উপজেলার ১০নং হাজীপুর ইউনিয়নের পীরের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল আলী (১৩) এখন মোলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এই ঘটনায় কুলাউড়া থানায় মামলা হলে পুলিশ কুদ্দুস ও রিপন নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মূল আসামি পারভেজ পলাতক রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। বিভৎস সেই ভিডিওটি দেখে কেঁদে ফিরছে অনেকেই। ভিডিওটিতে দেখা যায়, শিশু আলীকে বারবার আঘাত করা হচ্ছে। কখনও খালি হাতে, কখনও লাঠি দিয়ে, কখন বা মাথায় তুলে শিশুটিকে সজোরে আছড়ে ফেলা হচ্ছে মাটিতে।

যে কারনে স্বামীকে গরম দুধ দিয়ে ঝলসে দিলেন স্ত্রী,কারন জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন।

আমাদের সমাজে প্রায় সময় স্ত্রীরা সাধারণত স্বামীর সাথে কারনে অকারণে বকাবকি করে ঝগড়াঝাঁটি করে, এসব কারনে অনেক সময় স্বামীর হাতে স্ত্রী নিযার্তনের ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু স্ত্রীর হাতে স্বামী নির্যাতনের ঘটনা হয়তো বা প্রকাশ না পাওয়ায় অনেকেরই অজানা ।
এবার সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী গ্রামে বাকবিতণ্ডর এক পর্যায়ে স্ত্রী সুফিয়া বেগমের (২৫) ছুঁড়ে দেয়া গরম দুধে ঝলছে গেছে স্বামী মজমুল হকের (৩০) শরীর। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মজমুল উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী গ্রামের মাজেদুল ইসলাম ওরফে মওলা বকসের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে নির্যাতনের শিকার মজমুল হক।
দুপুরে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রেফতারের বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে মজমুল হকের সঙ্গে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা চাপারতল গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে সুফিয়া বেগমের (২২) বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
অভাবের সংসারে মজমুল হক অটোরিকশা চালিয়ে জীবন-যাপন করছে। অটোরিকশা চালাতে গিয়ে প্রায়ই গভীর রাতে বাড়ি ফিরতে হয় মজমুলকে। আর এ নিয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিল।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মজমুল অটো নিয়ে বাড়িতে ফিরেন। প্রচণ্ড গরম থাকায় বাড়ির পাশের একটি দোকানে বসে গল্প করছিলেন তারই বড় ভাবীর সঙ্গে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার স্ত্রীর সন্দেহ হওয়ায় স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে গিয়ে মজমুল তার স্ত্রীকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা চালায়।
একপর্যায়ে স্ত্রী সুফিয়া বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে চুলার উপর থেকে গরম দুধ এনে তার স্বামীর শরীরে ঢেলে দেয়। এতে স্বামী মজমুলের গলাসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়। পরে এলাকাবাসীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী চিকিৎসক আবদুস ছালাম শেখ জানান, মজমুল হকের গলার ও শরীরের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হরেশ্বর রায় বলেন,সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত করেছে এবংগরম দুধ এনে তার স্বামীর শরীরে ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত সুফিয়া বেগমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

মা, ভাইয়া, আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ তোমরা নিও – এর প্রতিশোধ কে না নিবে ??


“মা, ভাইয়া, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা আমাকে বাঁচতে দিল না।
আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী তারেক, তারেকের মা ও তার বোন কণিকা। আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ তোমরা নিও।”
এভাবেই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার মিনু।
এদিকে শারমিনের আত্মহত্যার খবর পেয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা স্কুলে ভাঙচুর চালায়।
এ সময় শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ডেকে তাদের হাতে অভিযুক্ত তারেককে সোপর্দ করা হয়। শারমিন শাহরাস্তি উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের পন্ডিত বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
তাকে উত্যক্ত করতো সহপাঠী সংহাই গ্রামের প্রবাসী আবু তাহেরের ছেলে তারেক।
বৃহস্পতিবার সকালে তারেকের মা রুপবান বেগম ও বোন কণিকা স্কুলে প্রবেশ করে মিনুকে অপদস্থ করে। এক পর্যায়ে তারেক তার মা বোনের সামনে মিনুর গায়ে হাত দেয় এবং তাকে চড় মারে।
দুপুরে মধ্যহ্ন বিরতিতে শারমিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর তাদের ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে তাকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আবদুল মতিন শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শারমিনের বড় ভাই শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি হত্য মামলা করেছেন। মামলায় তারেক ও তার মাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তারেক শারমিনকে চড় মারে ও মুখে থুতু দেয়। এই লাঞ্ছনা সইতে না পেরে শারমিন বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
সাহাব উদ্দিন বলেন, আসামি তারেক প্রায়ই শারমিনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে তাদের স্কুলে কয়েকবার অভিযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ সমঝোতা করে দেয়।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০ আগস্ট সকালে তারেকের মা স্কুলে গেলে শিক্ষকরা শারমিন ও তারেককে নিয়ে আলোচনায় বসেন।
পরে তার বোন দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে আসে। একফাঁকে সে আত্মহত্যা করে।
শাহরাস্তি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিলদার আজাদ জানান, তারেককে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শারমিনকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে।
স্থানীয়রা জানায়, উক্ত বিদ্যালয়ে ইতিপূর্বে ইভটিজিংয়ের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ছাত্রী অপহরন ও ইভটিজিংয়ের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হোসেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বখাটেদের ২ বছরের শাস্তি দেন।
এরপরও বিদ্যালয়ে ইভটিজিংয়ের ঘটনা বন্ধ না হওয়ায় জনগণ ক্ষোভ জানিয়েছে। অনেকই জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

এবার প্রকাশ্য এলো এমন এক ঘটনা যেটা লজ্জায় ফেলবে প্রত্যেককে!


শিক্ষক থেকে চিকিৎসকের হাতে ছাত্র-ছাত্রী, রোগীর নির্যাতনের খবর তো প্রকাশ্য এসেছে, আর এবার প্রকাশ্য এলো এমন এক ঘটনা যা ফের আরেকবার লজ্জায় ফেলবে প্রত্যেককে।
জানা গিয়েছে, এক ২৬ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ার মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এক ব্যক্তি। টানা আড়াই বছর ধরে এই পর্ব চলতে থাকে।
গত বছর ডিসেম্বরে ওই ইঞ্জিনিয়ার গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওই অভিযুক্ত তাকে গর্ভপাতও করায় জোর করে। মহিলা বিয়ের জন্য বললেন, সে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। মহিলার থেকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মাসে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরেও ২৬ বছর বয়সী এক মহিলা এই ধরনের অভিযোগ দায়ের করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় এবং সেখানে থেকেই পরে নির্যাতনের শিকার হয় সে। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।