Subscribe:

ওমর সানী শাকিব খানের দুলাভাই !!


দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানি। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক মাঝখানে অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও দীর্ঘ বিরতির পর ফিরেছেন খল চরিত্র বেশে। তার সাথে দেশের সুপারস্টার অভিনেতা শাকিব খানের সম্পর্কটা বেশ দারুনই! বয়সের তারতম্য থাকলেও শাকিব-সানির সম্পর্কটা বন্ধুর মতো। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, চিত্রঅভিনেতা ওমর সানি নাকি শাকিবের দুলাভাই! তাহলে কি চিত্রনায়িকা মৌসুমী কোনোভাবে শাকিবের বোন হন? আসলে ঘটনাটা বাস্তবের সম্পর্কের উপর নয়!
নব্বই দশকের জনপ্রিয় জুটি মৌসুমী-ওমর সানি। পর্দার বাইরেও তাদের দাম্পত্য জীবনের কুড়ি বছর পেড়িয়ে গেছে। পর্দায় বহুবার স্বামী-স্ত্রী হিসেবে অভিনয় করেছেন এই তারকা জুটি। বহুদিন জুটি বেধে বড়পর্দায় তাদের দেখা না গেলেও সম্প্রতি নতুন ছবি ‘আমি নেতা হবো’তে তারা অভিনয় করছেন স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই। আর এই ছবিতেই মৌসুমীর ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন দেশের জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা শাকিব খান। আর এই হিসেবে ওমর সানি এখন শাকিবের দুলাইভাই!
দু’দফা পরিচালক সমিতি ও চলচ্চিত্র পরিবারের ‘বয়কট’-এর ধকল কাটিয়ে এখন দেশীয় সিনেমায় ফিরছেন শাকিব খান। লোকাল প্রোডাকশনের চলচ্চিত্রে যাতে তাকে নিয়ে কেউ অভিনয় না করেন এমন আহ্বানও জানিয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিবার নামের সংগঠনটি। কিন্তু সব অনিশ্চয়তা পাশ কাটিয়ে ঈদের পর প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন শাকিব খান। গেল ১ আগস্ট উত্তম আকাশের পরিচালনায় ‘আমি নেতা হবো’ ছবির জনন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন শাকিব।

ছবিটি ‍দ্রুত শেষ করতে এরইমধ্যে টানা শ্যুটিং করছেন নির্মাতা। কেনোনা এরপরে শাকিব খানকে নিয়ে আরো অন্তত তিনটি ছবি নির্মাণের কথা ভাবছেন উত্তম আকাশ। ছবিগুলো প্রযোজনা করবে শাপলা মিডিয়া। ৩১ জুলাই রাজধানীর আফতাব নগরে ‘আমি নেতা হবো’-এর শ্যুটিং শুরু করেন নির্মাতা উত্তম আকাশ। প্রথম দিন শাকিব খান অংশ না নিলেও শ্যুটিং স্পটে দেখা মেলে ওমর সানি ও মৌসুমীকে। ১ তারিখ কলকাতা থেকে সোজা এই ছবির শ্যুটিং সেটে এসে যোগ দেন শাকিব। এরমধ্যে ওমর সানি ও মৌসুমীর সঙ্গে বেশকিছু ইনডোরের দৃশ্য সোশাল সাইটে দেখা যাচ্ছে।
শাকিব, ওমর সানি ও মৌসুমী ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করছেন প্রখ্যাত নির্মাতা কাজী হায়াতও। ছবিতে শাকিবের বিপরীতে দ্বিতীয়বারের মতো অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

অপু বিশ্বাস কত টাকার মালিক জানেন? জানলে আঁতকে উঠবেন


ঢালিউডের নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক চিত্রনায়িকা আরিফা পারভিন মৌসুমী। জানা যায়, তার বর্তমান সম্পদ তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তবে মৌসুমী সর্বোচ্চ সম্পদের মালিক হলেও সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে আছে অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের নাম।
তিনি কর দিয়েছেন ২০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। যা অন্যান্য শিল্পীর তুলনায় বেশি। তিনি আয় দেখিয়েছেন ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।সম্প্রতি তারকাদের দাখিল করা ২০১৩-১৪ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বোচ্চ সম্পদের দিক দিয়ে মৌসুমীর পরই আছেন মনির হোসেন খান।
তার সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের একজন নিয়মিত সংবাদ পাঠিকা রেহনুমা কামাল আহম্মেদ। তার সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সোহেল রানার সম্পদ এক কোটি ২৭ লাখ টাকার। কণ্ঠশিল্পী শুভ্র দেবের আছে এক কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পদ।
এরপরই আছেন কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার সম্পদ দেখিয়েছেন ৯৪ লাখ টাকা।কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের পর আছেন যথাক্রমে অভিনেত্রী আলেয়া ফেরদৌসী, তার সম্পদের পরিমাণ ৯০ লাখ চার হাজার টাকা। কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ বেলী, তার সম্পদের পরিমাণ ৮৮ লাখ তিন হাজার টাকা এবং অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ, তার সম্পদের পরিমাণ ৭৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। করদাতা হিসেবে মাহফুজ আহমেদের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন অভিনেতা জাহিদ হাসান। তিন ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আয় দেখিয়ে কর দিয়েছেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান করদাতা হিসেবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার আয় ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এবং আয়কর দিয়েছেন ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।এদিকে পঞ্চম অবস্থানে আছেন শাবনুর (কাজী শারমিন নাহিদ)। তার আয় ২৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং আয়কর দিয়েছেন ছয় লাখ ৩১ হাজার টাকা।

ছেলেকে কি বানাতে চান শাবনূর,জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।


জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শাবনূর। এক সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা এখন পুরোদস্তুর সংসারী।
স্বামী-সন্তান নিয়ে তার দিন কাটে আদর্শ বাঙালি নারীর মতোই ঘরোয়া ভাবনায়।
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরের ছেলে আইজান নেহানের বয়স এখন দুই বছর।
ছেলেকে নিয়ে শাবনূর স্বপ্ন দেখছেন, বড় হয়ে দেশসেরা ক্রিকেটার হবে আইজান।
এ বিষয়ে শাবনূর জানান, অভিনেতা, ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার নয় ছেলেকে তিনি ক্রিকেটারই বানাতে চান।
শাবনূর বলেন, ‘সবাই চায় তার সন্তান ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হোক কিন্তু আমি তেমনটা চাইনা। আমার ইচ্ছা আইজানকে আমি ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইজান এখন বেশ বড় হয়েছে। সে খেলতে চায়।
ক্রিকেটের প্রতি তার অাগ্রহ বাড়াতে আমরা তার খেলার জন্য কয়েকটি ব্যাট ও বল কিনে দিয়েছি। সে ওইসব নিয়েই এখন খেলে।’
তবে শাবনূরের স্বামী অনিক চান ছেলে বড় হয়ে নামকরা ডাক্তার হোক। শাবনূর বলেন, ‘আমি আইজানকে ক্রিকেটার বানাতে চাইলেও তার বাবা এটা চায় না।
সে চায় আইজান ভালো ডাক্তার হোক। কিন্তু আমি ওকে ক্রিকেটার হিসেবেই দেখতে চাই।’
তবে শাবনূর ভক্তদের জন্য সুখবর হলো আবারো তিনি বড় পর্দায় ফিরতে চাইছেন। সে লক্ষে নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। কমিয়ে আনছেন শরীরের ওজন।
শাবনূর এখন কোথায়? 
কয়েক দিন আগে দেশে আসেন দেশের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। ১১ মাস পর গত ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ ঢাকায় এসেছিলেন অভিনেত্রী শাবনূর। কিন্তু এখন তিনি কোথায়? তার স্বামী বলছেন দেশেই আছেন এদিকে তার বাবা বলছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর বাবা শাহজাহান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জরুরি প্রয়োজনে শাবনূর অস্ট্রেলিয়া উড়াল দিয়েছেন। শাবনূর যখন ঢাকায় এসেছিল, তখন বলেছিল এবার কয়েক মাস ঢাকায় থাকবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ করে জরুরি কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় তাড়াতাড়ি চলে  যেতে হয়েছে তাকে।
জানা গেছে, শাবনূরের একমাত্র সন্তান আইজানের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। তার চিকিৎসা এবং ব্যক্তিগত কিছু কাজে এ যাত্রায় ঢাকা ছেড়েছেন একসময়ের লাস্যময়ী শাবনূর। কিন্তু শাবনূরের স্বামী অনিক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, শাবনূর দেশেই আছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া যাননি।
অনিক বলেন, ‘সামান্য জ্বরের কারণে ছেলেকে চিকিৎসা করতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। সে অস্ট্রেলিয়া যায়নি। ঢাকাতেই আছে। একটি ছবির শুটিংয়ের প্ল্যান চলছে। সেটা শেষ করেই অস্ট্রেলিয়া যাবে।’
এ বিষয়ে শাবনূরের মোবাইলে ফোন দিলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। দু’পরিবার থেকে দুই ধরনের বক্তব্যে বেশ কিছুটা গরমিল রয়েছে। বক্তব্যের অসামঞ্জস্যতা থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট, স্বামীর সঙ্গে মোটেও বনিবনা হচ্ছে না এক সময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ রোমান্টিক নায়িকার।
কিছুদিন আগে গুঞ্জন উঠেছিল, অনিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটছে শাবনূরের। তাদের মধ্যে আর বনিবনা হচ্ছে না। তখন বিষয়টি গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাবনূর। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। ছেলে আইয়ান ও স্বামী অনিককে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছি আমরা।’

ছেলেদের বিয়ের সঠিক বয়স কত জানেন? সমীক্ষায় ভয়াবহ তথ্য!


দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন? কিছুতেই বিয়ে হচ্ছে না আপনার! কিংবা পরিবারও সেই অর্থে বিয়ের বিষয়ে রাজি হচ্ছে না। আবার রাজি থাকলেও বিয়ের কথা বলছে না। কিন্তু জানেন কি বিয়ের সঠিক বয়েস কখন?
ভাবছেন তো এ আবার কি বলছি। হ্যাঁ সবকিছুরই একটা বয়েস থাকে। যেমন পড়ার সময়ে পড়া আর খেলার সময়ে খেলা!! তেমনই অবশ্যই বিয়ের সময়
বিয়ে। তবে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে বিয়ের বয়েস এখনও হয়নি।
যিনি এমন বলেন তিনিও কি আদৌও জানেন বিয়ের বয়েস কখন। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে ছেলেদের বিয়ের সঠিক সময় জানা গিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব উটাহের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে বিয়ে করার সর্বোৎকৃষ্ট সময় হল ২৮ থেকে ৩২ বছর।
এই সময়সীমার মধ্যে যারা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদের বিয়ের প্রথম পাঁচ বছরে ডিভোর্সের সংখ্যা খুব কম। সমীক্ষাতে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে ৩২ বছর বয়সের পর ডিভোর্সের পরিমাণ শতকরা পাঁচ ভাগ কমে যায়। ফলে আর কি!! এখনও সময় আছে। আর হাতে যদি সেই সময়টুকু না থাকে তাহলে এখনই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিন। না হলে যে বড় বিপদ ঘটে যাবে…।দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্কের মধ্যে রয়েছেন? কিছুতেই বিয়ে হচ্ছে না আপনার! কিংবা পরিবারও সেই অর্থে বিয়ের বিষয়ে রাজি হচ্ছে না। আবার রাজি থাকলেও বিয়ের কথা বলছে না। কিন্তু জানেন কি বিয়ের সঠিক বয়েস কখন?
ভাবছেন তো এ আবার কি বলছি। হ্যাঁ সবকিছুরই একটা বয়েস থাকে। যেমন পড়ার সময়ে পড়া আর খেলার সময়ে খেলা!! তেমনই অবশ্যই বিয়ের সময়
বিয়ে। তবে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে বিয়ের বয়েস এখনও হয়নি।
যিনি এমন বলেন তিনিও কি আদৌও জানেন বিয়ের বয়েস কখন। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে ছেলেদের বিয়ের সঠিক সময় জানা গিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব উটাহের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে বিয়ে করার সর্বোৎকৃষ্ট সময় হল ২৮ থেকে ৩২ বছর।
এই সময়সীমার মধ্যে যারা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদের বিয়ের প্রথম পাঁচ বছরে ডিভোর্সের সংখ্যা খুব কম। সমীক্ষাতে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে ৩২ বছর বয়সের পর ডিভোর্সের পরিমাণ শতকরা পাঁচ ভাগ কমে যায়। ফলে আর কি!! এখনও সময় আছে। আর হাতে যদি সেই সময়টুকু না থাকে তাহলে এখনই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিন। না হলে যে বড় বিপদ ঘটে যাবে…।

প্রধানমন্ত্রী হলে সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলব : হিরো আলম


প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার হিরো আলম। শুক্রবার দুপুরে একটি রেডিও চ্যানেলের লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেডিও জকি জানতে চান, মন্ত্রী হলে আপনি কী করবেন?
উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি মন্ত্রী হতে চান না। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলে তিনি সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ছাড়বেন। ‘ এসময় হিরো আলম ভারতীয় অভিনেতার মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘ফাটাকেষ্ট’ ছবির কথা
উল্লেখ করেন। বলেন, আপনি ‘ফাটাকেষ্ট দেখেননি? ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই দেশ ঠিক করে ফেলবো।
রেডিও জকি হিরো আলমকে নেচে দেখাতে বলেন। উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি নাচতে আগ্রহী নন। তবে সুযোগ পেলে বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনের সঙ্গে নেচে দেখাবেন তিনি। ‘
মানুষের খারাপ মন্তব্য, সমালোচনা কীভাবে নেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘এগুলো আমার খুব ভালো লাগে। কারণ গালি দিতে হলে আমার নামটা আগে মুখে নিতে হয়। তার মানে ওই ব্যক্তির মাথায় ‘হিরো আলম’ শব্দটা কাজ করে। সে আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই এটা করে। ‘
‘মার ছক্কা’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় হিরো আলমের অভিষেক হচ্ছে। ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য আছে বলে জানান হিরো আলম। রেডিও জকি প্রশ্ন করেন, ‘এমন ছিপছিপে শরীর দিয়ে কীভাবে অ্যাকশন দৃশ্য অভিনয় করেছেন? এটা কীভাবে সম্ভব?’ হিরো আলম বলেন, ‘পারি আর না পারি সামনে আগাইয়া যাব। পরে যা হওয়ার হয়ে যাবে।’
কে এই হিরো আলম?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে চর্চিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো হিরো আলম। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে আলমের ভিডিও ও ছবি। কিন্তু কে এই হিরো আলম?
সিডি বিক্রি করতেন আশরাফুল আলম। সেটা বেশ আগের ঘটনা। সিডি যখন চলছিল না তখনই মাথায় আসে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসার। ভাবলেন নিজ গ্রামেই সেটা করবেন, এবং করে ফেললেন। বগুড়ার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া গ্রামেই শুরু হয় আলমের ডিশ ব্যবসা।
ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনের সাথে চলা আলমের পরিবার তাকে আরেক পরিবারের হাতে তুলে দেয়। আলম চলে আসেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাসায়। আব্দুর রাজ্জাক তাকে ছেলের মতো করেই বড় করে তোলেন। স্নেহ করতেন।
কিন্তু গ্রামে অভাব তো প্রায় মানুষের আছে। আলমের পালক পিতা আব্দুর রাজ্জাকের সংসারও অভাবের ছোঁয়া পায়। স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আলমকে নেমে পড়তে হলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। সিডি বিক্রি থেকে আলম ডিশ ব্যবসায় হাত দিয়ে সফলতা অর্জন করেন। তার মাসে আয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন আলম।

কালের কণ্ঠকে আলম বলেন, ”আমি আমার গ্রামের সবার ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসা আমাকে নিজের হাতে করে খেয়ে বাঁচতে শিখিয়েছে। এখন আমার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুখেই আছি। ”
সিডির ব্যবসা করতেন আলম। ক্যাসেটে দেখতেন মডেলদের ছবি। সেই থেকে মাথায় ঢোকে মডেল হওয়ার। ২০০৮ সালেই করে ফেলেন একটা গানের সাথে মডেলিং। সেটাই ছিল শুরু। এরপরে সেসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সংসারে মনোযোগী হন। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন পাশের গ্রামের সুমী নামের এক তরুণীকে। আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও সুমী পড়েছেন এসএসসি পর্যন্ত। তাদের সংসারে আসে নতুন দুই অতিথি। নিজের নামের সাথে মিলিয়ে রাখেন সন্তানদের নাম। পুত্র আবির ও কন্যা আলো। এখন সংসার আর ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত আলম। পাশাপাশি নিজে কিছু মিউজিক ভিডিও করেন। সেগুলো নিজের ক্যাবল চ্যানেলেই প্রচার করেন। গ্রামের মানুষরাও তাকে বাহবা দেয়। আলম উৎসাহ পান।
আলম বলেন, আমার মডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল আগে। যখন সিডি বিক্রি করতাম। আমি জানি না এসব ইচ্ছে পূরণ হয় কি না, তবে লেগে ছিলাম। হয়েছে। অনেকে বলে বাজে হয়েছে আমি কান দেই না। অনেকে আবার বলে ভালোই হয়েছে। আমি গ্রামের ছেলে মন যা চায় করি। মানুষের কথায় কান দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আলম সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, ”আলম ছেলে খারাপ না। কষ্ট করে বড় হয়েছে আলম। সে গান গাইতে পারে না, নাচতেও পারে না। তবে তার মডেলিং এর শখ আছে এটা জানি। ”
এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ”আলম সম্পর্কে জানি সে ডিশ ব্যবসা করে। নির্বাচনও করে। দুইবার দাঁড়িয়েছিল। হেরে গেছে। তবে এলাকার মানুষজন তাকে পছন্দ করে। নির্বাচনে এবার সে দ্বিতীয় হয়েছে। ছেলে হিসেবে খারাপ না, তবে শুনছি মডেলিং-এর দিকে তার ঝোঁক। ”
আশরাফুল আলম কালের কণ্ঠকে নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ”আমি এবার মাত্র ৭০ ভোটে হেরেছি। এর আগেরবারও হেরেছি অল্প ভোটে। তবে এলাকার মানুষের ভালোবাসার জন্য আমি আরেকবার নির্বাচন করবো। আমি বলেছিলাম আর দাঁড়াবো না, কিন্তু ভালোবাসার জন্য পরেরবার আরেকবার দাঁড়াবো। ”
মডেলিং সম্পর্কে আলম বলেন, ”আমার ভিডিওগুলো ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে যাওয়ায় এখন অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে দুটি মিউজিক ভিডিও করার জন্য রাজি হয়েছি। আজ রাতে ঢাকা যাচ্ছি। ” কার সাথে, কিসের মিউজিক ভিডিও এমন প্রশ্নের জবাবে আলম জানান, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ছবির সজলের সাথে কাজ করার কথা। ”সজল ভাই আমাদের বগুড়ার ছেলে। ”
হিরো আলম কি সুপারস্টার? 
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিরো আলমকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে দেওয়া হ্যাশট্যাগসংবলিত কয়েকটি টুইট ও স্ট্যাটাস
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন ‘হিরো আলম’। এবার শুধু দেশেই নয়, পাশের দেশ ভারতেও তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ভারতীয়রা হিরো আলমকে বাংলাদেশের ‘সুপারস্টার’-এর তকমা দিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এই তকমার ভিত্তিতে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করতে শুরু করেছে।
দেশের বাইরে হিরো আলমের নাম ছড়িয়ে পড়ে যখন তিনি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি পত্রিকা। সেই ছবি ও প্রতিবেদনের জের ধরে ১৬ ডিসেম্বর বিবিসি হিন্দি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিরো আলমকে নিয়ে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি একে একে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমগুলোতেও তিনি খবরের শিরোনাম হন। জি নিউজ, এনডিটিভি, ডেইলি ভাস্কর, মিড-ডের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করে। সেখানে অনেকেই হিরো আলমকে বাংলাদেশের বিনোদনজগতের অন্যতম তারকা বলে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, এ পর্যন্ত ৫০০ মিউজিক ভিডিও এবং র‍্যাপ গান তৈরি করেছেন হিরো আলম। তাঁর ফেসবুকের অনুসারীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁকে তারকা বলে ধরে নিয়েছে। এ জন্যই মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে গুগলে হিরো আলমকে সালমান খানের চেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও শুনেছি। এ জন্যই বিদেশ থেকে ভক্তদের ফোন আসছে অনেক।’
তবে এ ধরনের প্রচারের কারণে বাংলাদেশের শিল্পীদের ব্যাপারে যে নেতিবাচক বার্তা ভারতে যাচ্ছে, তা নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। টুইটার ও ফেসবুকে ‘হিরো আলম’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অনেকেই শেয়ার করছেন নানা ধরনের আপত্তিকর কৌতুক। এর সঙ্গে অনেকে আবার হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশি অ্যাক্টর’ প্রসঙ্গটিও জুড়ে দিচ্ছেন। হিরো আলমের সঙ্গে ভারতীয়দের কৌতুকের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও দেশের শিল্পীদের ভাবমূর্তিও। ইউটিউবে প্রকাশিত হিরো আলমের মিউজিক ভিডিওতে তাঁর ব্যক্তিত্ব, অভিব্যক্তি ও বাচনভঙ্গি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন পেজ ও গণমাধ্যম রসিকতা করছে। গুটি কয়েক গণমাধ্যম হিরো আলমকে ‘সামাজিক মাধ্যমের তারকা’ বলে আখ্যায়িত করছে বটে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তাঁকে বাংলাদেশের বিনোদনজগতের তারকার কাতারেই ফেলছে এবং গুগলে তাঁকে খুঁজেই যাচ্ছে।এই খোঁজাখুঁজিতে হিরো আলম হয়তো বহুদূর যেতে পারবেন, কিন্তু এতে বাংলাদেশের শিল্পীদের ভাবমূর্তি বাইরের দেশে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আলোচিত হয়ে উঠতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ব্যক্তিত্ব। সেই শঙ্কার কথাই জানালেন গণমাধ্যম বিশ্লেষক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে ভারতে আমাদের চ্যানেল দেখা না যাওয়ার প্রভাব এবং আমাদের সিনেমা সেখানে নিয়মিত প্রদর্শিত না হওয়ার প্রভাব। যেকোনো লোক যেকোনো কিছু ক্লেইম করতে পারে। সমস্যাটির সমাধান হতে পারে ওই দেশে আমাদের টিভি অনুষ্ঠান-সিনেমা নিয়মিত প্রদর্শিত হলে। নইলে এ রকম বহু হিরো আলম বের হবে ভবিষ্যতে।’
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলায় স্থানীয় কেব্‌ল সংযোগ স্থাপনের ব্যবসা রয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের। সেই সুবাদেই তিনি নিজের স্থানীয় সংযোগগুলো প্রচারের জন্য কিছু মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছিলেন বিভিন্ন সময়। যা এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে হিরো আলমের ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল ও মিম। কিন্তু এখন দেশের বাইরেও বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতিনিধি হিসেবে হিরো আলমের নাম ছড়িয়ে পড়ায় সেই কৌতুক শঙ্কায় পরিণত হচ্ছে।

হাতে রয়েছে এমন ‘এক্স’ চিহ্ন? তা হলে তো আপনি বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী ….!!


সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।
করোষ্ঠী বিচার বা হস্তরেখা বিচার শাস্ত্র মনে করে, মানুষের ভাগ্য এবং ব্যক্তিত্ব তার হাতের রেখাতেই মুদ্রিত থাকে। সেই শাস্ত্র আরও মনে করে, হাতের তালুতে রেখার দ্বারা গঠিত কয়েকটি বিশেষ চিহ্ন বিরল সৌভাগ্যের ইঙ্গিত দেয়। তেমনই একটি সৌভাগ্যসূচক চিহ্ন হল ‘এক্স’ চিহ্ন।
কী এই ‘এক্স’ চিহ্ন? আসলে হাতের বিভিন্ন রেখার মধ্যে এক একটি রেখার এক একটি নাম রয়েছে। নিজের হাতের তালুর দিকে তাকান। দেখবেন, আড়াআড়ি তিনটি রেখা অত্যন্ত স্পষ্ট এবং প্রকট হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আঙুলের দিক থেকে প্রথম রেখাটির নাম হৃদয় রেখা, দ্বিতীয় রেখাটির নাম মস্তিস্ক রেখা, তৃতীয় রেখাটির নাম জীবন রেখা। আর উপরে-নীচে বিস্তৃত যে রেখাটি এই তিনটি (কিংবা দু’টি) রেখাকে ছেদ করছে, সেটির নাম ভাগ্য রেখা (ছবি দেখুন)।

এ বার ভাল করে তাকান নিজের হাতের তালুর দিকে। বিশেষ মনোযোগ দিন উপর থেকে দ্বিতীয় রেখা অর্থাৎ মস্তিস্ক রেখার দিকে। দেখুন তো, ভাগ্য রেখা (লম্বালম্বি রেখাটি) কি এমন ভাবে ছেদ করছে হৃদয় রেখাকে, যাতে এই দুই রেখার সংযোগ স্থলে ইংরেজি এক্স (X)-এর মতো একটি চিহ্ন তৈরি হয়? হয়েছে? বেশ। এ বার তাকান, অন্য হাতের তালুর দিকে। সেখানেও কি একই ভাবে মস্তিস্ক রেখা এবং ভাগ্য রেখার সংযোগস্থলে একটি ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে? যদি থাকে, তা হলেই কেল্লাফতে।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দু’ হাতেই এই জাতীয় চিহ্নের উপস্থিতি বিশেষ সৌভাগ্যকে সূচিত করে। যাঁদের হাতে এই ধরনের চিহ্ন থাকে, তাঁরা শুধু যে শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরোগ দেহের অধিকারী হন, তা-ই নয়, পাশাপাশি তাঁদের মানসিক দৃঢ়তাও হয় অতুলনীয়। তাঁদের ভাগ্য তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী আকার ধারণ করে। ফলে সর্ব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন তাঁরা। এতটাই খ্যাতি এবং যশ তাঁরা অর্জন করেন যে, তাঁদের মৃত্যুর পরেও বিশ্ববাসী তাঁদের মনে রাখে।

মস্কোর এসটিআই ইউনিভার্সিটি-র গবেষকদের প্রকাশিত ‘এক্স পাম মিস্ট্রি অ্যান্ড স্পিরিট সায়েন্স ফর্মুলা’ নামের গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, পৃথিবীর মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের দুই হাতেই এই চিহ্ন থাকে। গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা দেখিয়েছেন, সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল। কাজেই আপনিও যদি এই ৩ শতাংশ মানুষের অন্তর্ভুক্ত হন, তা হলে আপনিও নিজের ভাগ্য নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
এ ছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করে,

১. যাঁদের হাতের তর্জনীর নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন থাকে, তাঁদের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থলাভের যোগও তাঁদের রয়েছে।

২. যাঁদের মধ্যমার নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে, দুর্ভাগ্য এবং অসুস্থতা তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে সারা জীবন।
৩. যাঁদের হাতে ‘এক্স’ চিহ্নের অবস্থান অনামিকার নীচে, বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ব্যর্থতা, অর্থহানি, এবং অবসাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।

৪. আবার কড়ে আঙুলের নীচে অবস্থিত ‘এক্স’, সেই ব্যক্তির চারিত্রিক অসততার লক্ষণ।
 হাতের লেখা দেখে মানুষ চেনার উপায়: 
হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য দেখে ব্যক্তিত্ব বোঝার বিজ্ঞানকে বলে গ্রাফোলজি। এই বিজ্ঞানের চর্চা চলছে সেই অ্যারিস্টটলের সময় থেকে। বর্তমানে অসংখ্য প্রয়োজনে এর প্রয়োগ ঘটে। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্যগত তথ্য পেতেও এর ব্যবহার রয়েছে। গ্রাফোলজিস্ট ক্যাথি ম্যাকনাইট জানান, কেবল হাতের লেখা বিশ্লেষণ করেই মানুষের ৫ হাজার রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের করা সম্ভব। এখানে বিভিন্ন ধরনের হাতের লেখার সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিন। এখানে ছবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা ও তার সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন।
১. অক্ষর ও শব্দের আকার : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বুঝতে ও খেয়াল করতে চান। আর দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার মনোযোগ অতি সূক্ষ্ম। আর আপনি অন্তর্মুখী।
২. হেলানো : ওপরের লেখার বোঝা যায়, আপনি হৃদয়কেন্দ্রিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বন্ধু ও পরিবারের মূল্যায়ন করে।
মাঝখানের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যুক্তি দিয়ে চলেন, আবেগ দিয়ে নয়। আর নিচের লেখায়া প্রকাশ পায়, বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মানুষের ওপর কাজ করতে চান আপনি। বার বার দেখে নেন সবকিছু।
৩. চাপ প্রয়োগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আবেগ অনেক গভীর এবং সবকিছু চরমভাবে অনুভব করেন। খুব বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বিভিন্ন স্থানে আপনি সহজ ও স্বাবলীল থাকেন। আবেগ দিয়ে পরিচালিত হন না।
৪. ওপরের অংশ : প্রথম লেখায় স্পষ্ট হয় যে, আপনি আশাবাদী এবং ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনি আপনার আশা ও স্বপ্ন চাপা দিতে পারেন। তৃতীয় লেখায় বোঝা যায়, সমালোচনায় স্পর্শকাতর আপনি। চতুর্থ লেখায় বোঝা যায়, আপনি কর্মী হিসাবে ভালো। গোছালো এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে আপনার মাঝে।
৫. নিচের অংশ : প্রথম লেখা বলে, আপনি সত্যিকার বন্ধু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার বন্ধুমহল অনেক বড়। তৃতীয় লেখা বলছে, আপনি ভ্রমণপিয়াসী। আর চতুর্থ লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি নিজ বাসায় থাকতে পছন্দ করেন।
৬. অক্ষরের সংযোগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যৌক্তিক, পদ্ধতি অনুযায়ী চলে এবং সাবধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিচের লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি বুদ্ধিমান ও স্বজ্ঞাত।
৭. ডটেড ‘আই’ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আচরণ শিশুসুলভ। আপনি শৈল্পিক। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি এলোমেলো অবস্থা পছন্দ করেন না। বিস্তারিত দেখতে ভালো লাগে।
৮. ‘টি’ এর ক্রস : ওপরে অক্ষরে বোঝা যায়, আপনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মবিশ্বাসী। নিচের অক্ষর স্পষ্ট করে যে, আপনার লক্ষ্য শক্ত নয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
৯. লাইনের মাঝের ফাঁকা অংশ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, সময়মতো কাজ করতে আপনি অদক্ষ। নিচের লেখা দেখে বোঝা যায়, সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনি সাবধান।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

‘স্মার্ট’ রিকশা চালকের আয়ও বেশি


ইস্ত্রি করা শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে প্যান্ট, গলায় টাই, সানগ্লাসে ঢাকা চোখ, মাথায় ক্যাপ, হাতে ঘড়ি, আঙ্গুলে সোনার আংটি (রিং), পায়ে চকচকে জুতা (সু), আছে মোবাইলও।
এভাবেই রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদে পরিপাটি হয়ে লক্ষ্মীপুর শহরে রিকশা চালান মো. ফারুক (৩০)। প্রতিদিন স্মার্ট হয়ে শহরের অলি-গলিতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
স্থানীয়দের কাছেও তিনি তাই ‘স্মার্ট’ রিকশা চালক। তার রুচিশীল এসব পোশাক-আশাক ছাড়াও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা, বুদ্ধিমত্তা ও সুন্দর আচরণে মুগ্ধ সবাই।
ফারুক লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। মা-বাবা, স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে তার সংসার। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেশ কিছুদিন সামান্য বেতনে চাকরি করেন।
চাকরি ছেড়ে গত এক বছর ধরে লক্ষ্মীপুর শহরসহ আশেপাশের এলাকায় রিকশা চালাচ্ছেন ফারুক। স্মার্টনেসের পাশাপাশি দক্ষ চালক হওয়ায় শহরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণও করতে পেরেছেন দ্রুতই।
ফারুক বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণেই ব্যতিক্রমী এ সাজে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ‘স্মার্ট’ হয়ে কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণও হচ্ছে। ২০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকাও পেয়েছেন।
ফারুককে নিয়ে কৌতুহলও কম নয়। অনেকেই সেলফি তোলেন, কেউ কেউ শখ করে তার রিকশায় উঠে শহরে ঘোরেন, চায়ের আড্ডাও করেন।
তার ব্যাটারি চালিত এ রিকশায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ওঠেন। সময় করে স্ত্রী-সন্তানকে রিকশায় নিয়ে বেড়াতে বের হন ফারুক নিজেও।
ফারুক জানান, তার ৭/৮টি প্যান্ট, সমান সংখ্যক শার্ট, তিন জোড়া জুতা, তিনটি টাই ও শীতের জন্য দু’টি ব্লেজার আছে। এসব নিজের পছন্দে উপার্জিত টাকায় কেনা।
কলেজ ছাত্র শাকিল ও জামাল বলেন, ‘স্মার্ট ওই রিকশা চালককে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তিনি কাউকে বাড়তি ভাড়ার জন্য চাপ দেন না। তবে বেশিরভাগ যাত্রী নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা দেন’।
ফারুক বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বেশি বিক্রির আশায় তাদের দোকানকে ভালো সাজ-সজ্জায় নানাভাবে সাজান। আমিও তেমনি স্মার্ট হয়ে রিকশা চালিয়ে যাত্রী আকর্ষণের চেষ্টা করছি। পরিপাটি হয়ে চলতে নিজের কাছেও ভালো লাগে। এতে দু’দিকেই লাভ- যাত্রী ও ভাড়া বেশি মেলে, শরীর-মনও ভালো থাকে’।

দিনাজপুরের সেই ভিক্ষুকের মেয়ে এখন জার্মানির এমপি


পশ্চিমবঙ্গর রাজ্যের উত্তর দিরাজপুরের দিনাজপুর জেলার এক হত দরিদ্র ভিক্ষুকের মেয়ে নন্দিনী এখন জার্মানির প্রভাবশালী সংসদ সদস্য (এমপি)। আবারও প্রমাণিত হলো- দারিদ্রতা কখনও চলার পথের বাঁধা হতে পারে না।
হ্যাঁ, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর দিরাজপুরের এক বাঙালি মেয়ের সাফল্যগাঁথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বাবা ভিক্ষুক হওয়া সত্ত্বেও নিজের ইস্পাত কঠিন ইচ্ছাশক্তির জোরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের মেয়ে হলেও তার পূর্বপূরুষ ছিলেন বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা।
তিনি ভিক্ষুক বাবার পরিবারে দারিদ্র্যতাকে নিত্য সঙ্গী করে বেড়ে উঠেছেন রায়গঞ্জ আর দূর্গাপুরে। তার বাবা ফকির ছিলেন স্থানীয় একটি মন্দিরের দায়িত্বে। প্রতিদিন মন্দিরের আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে চাউল তুলতেন মন্দিরের জন্য, সে চাউলের একটি অংশ মন্দিরে দিতেন আর একটি অংশ তিনি নিজে রাখতেন। মাঝেমধ্যে নন্দিনীও তার বাবার সাথে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন চাউল সংগ্রহ করার জন্য। তার বয়স যখন ৬ বছর তখন তিনি ভর্তি হন দুর্গাপুর স্কুলে।
ভালো ফলাফল করে নন্দিনী আসেন
রায়গঞ্জ কলেজে। তার বয়স যখন ১৮ বছর তখন হরিনাথ ফকির মারা যান। যদিও নন্দিনীর আর কোন ভাই বোন ছিলেন না তবুও তার মাকে নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়েন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। প্রতিকূলতার মাঝে নন্দিনী কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে ভর্তি হন।
সেখানে পড়াকালীন তিনি একটি ছোট্ট পত্রিকায় খন্ডকালীন চাকরি পান মডারেটর হিসেবে। নন্দিনী বেশ সফলতার সঙ্গে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে আবারো বাধ সাধে বিধাতা। নন্দিনীর একমাত্র ভরসা তার মা পৃথিবী থেকে স্বর্গে চলে যান। মা হারানোর শোকে তখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এরপর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাইকে অবাক করে অভাবনীয় ফলাফল করেন নন্দিনী। ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে উচ্চতর গবেষণার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান সুদূর জার্মানিতে। সেখানে সারলান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের ফান্ড বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেন নন্দিনী সে আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। সবার দৃষ্টি পড়ে নন্দিনীর উপর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নন্দিনী জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।
সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি দলের সাথে নন্দিনীর সখ্যতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। একসময় এ পার্টিতে নন্দিনীর অবস্থান হয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে (এশীয় অঞ্চল)।
একই সাথে ওই পার্টি থেকে প্রকাশিত পত্রিকার মূল সম্পাদনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন অদ্যবধি। গতবছরের নভেম্বরে সারলান্ডের আনাট্রপলি অঞ্চলের উপনির্বাচনে নন্দিনী তার পার্টি থেকে নমিনেশন পান এবং সিডিএফের প্রার্থী জন্টসকে ৩০২ ভোটের ব্যাবধানে হারান।
প্রায় ১০ বছর হলো কোলকাতা থেকে নন্দিনী জার্মানিতে রয়েছেন। তবে এরমধ্যে দেশে এসেছেন মাত্র ২ বার। নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জার্মানিতে অবস্থানরত প্রবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য। নন্দিনী বিয়ে করেছেন সারলান্ড অঞ্চলের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী বেঞ্জামিনকে।
নন্দিনী-বেঞ্জামিন দম্পতির বর্তমানে ২ ছেলে রয়েছে। আসছে মার্চে কোলকাতা আসবেন দারিদ্র্যকে জয় করা এ কৃতী নারী। সময় পেলে পূর্ব পুরুষের ভিটা বাংলাদেশেও একবার ঢুঁ মারবেন। নিবেন বুক ভরে সজীব নিঃশ্বাস।

গলায় ছুরি ঠেকিয়ে এক পুরুষকে যৌন নির্যাতন করার দায়ে সাজা হলো এই তরুণীর !!


গলায় ছুরি ঠেকিয়ে একজন ট্যাক্সিচালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক তরুণীর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ অনলাইন মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম ব্রিটানি কার্টার। আদালতে যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়, তখন তিনি নিজের হাসি থামাতে পারছিলেন না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ফিন্ডলে এলাকার একটি হোটেল থেকে ভোরে বেরিয়ে ব্রিটানি কার্টার ও তাঁর বন্ধু ২০ বছর বয়সী কোরি জ্যাকসন ট্যাক্সি ভাড়া করেন। ট্যাক্সি চলার একপর্যায়ে কোরি চালকের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধরে ট্যাক্সি থামাতে বলেন। ট্যাক্সি থামলে গলায় কোরির ছুরি ঠেকানো অবস্থায় চালকের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সংসর্গ করেন ব্রিটানি। পরে তাঁরা দুজনে চালকের পকেট থেকে ৩২ ডলার লুট করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর ট্রিনিটি এক্সপ্রেস ক্যাব সার্ভিসের ২৯ বছর বয়সী ওই চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। গত এপ্রিলে ব্রিটানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্রিটানি কার্টার দোষ স্বীকার করে বলেছেন, যৌন নির্যাতন করার আগে ট্যাক্সিচালকের গলায় ছুরি ঠেকানো হয়েছিল।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রবার্ট রিং বলেন, ‘ব্রিটানি ওই ট্যাক্সিচালকের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে যৌন নির্যাতন করেছেন। তবে কেন এমন করলেন, তা আমরা জানি না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্যাক্সিচালকের যৌন নির্যাতনের মামলায় ব্রিটানির বন্ধু কোরি জ্যাকসনের দোষ প্রমাণিত হয়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনো অর্থ লুটের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জামিনে আছেন। আগামী নভেম্বরে তাঁর বিচার শুরু হবে।

দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটানির বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে থাকা অবস্থায় নতুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ হাজার পাউন্ড মুচলেকা দিয়ে কোরি জ্যাকসন জামিনে আছেন। ২০ নভেম্বর থেকে তাঁর বিচার শুরু হবে।

কোরবানি না করে ১ লক্ষ টাকা বন্যাদুর্গতের সহায়তায় দিবেন সানী-মৌসুমী


দেশের উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা আহত করেছে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি ওমর সানী- মৌসুমীকে। তাইতো পর্দার নায়ক-নায়িকা বন্যা দুর্গতদের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বন্যাদুর্গতের সহায়তায় অন্যান্য তারকাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ওমর সানী।

শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে ওমর সানী বলেন, এবার আমরা কোরবানি করবনা। কোরবানীর জন্য রাখা ১ লক্ষ টাকা এবার বন্যাদুর্গতের জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর মৌসুমী।

সানী বলেন, কোরবানি হল ত্যাগ। আল্লাহকে খুশি করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করা। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে আমি নিজের হাতে কোরবানি করি। এবারই করা হবে না। কোরবানীতে শুধু মাংস বিলালেই ত্যাগ স্বীকার হয় বলে আমি বিশ্বাস করি না।


সানী বন্যাদুর্গতের সহায়তার জন্য অন্যান্য তারকাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এজন্য তিনি একটি ফান্ড গঠন করারও তাগিদ দেন।আর এই উদ্যোগ নিয়ে কোন ধরনের রাজনীতি না করতেও তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই দেহ যে ৭টি সিগনাল দেয় !!




আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এখন বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর একটি বড় কারণ। হার্ট অ্যাটাক হয় সাধারণত হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে। অথবা রক্ত চলাচলের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ব্লক হলে হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে আগেভাগেই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ধরতে পারলে হয়তো অকাল মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই দেহ কিছু সতর্কতা সংকেত দিতে শুরু করে। এখানে এমন ৭টি লক্ষণ বাতলে দেওয়া হলো যেগুলো দেখা গেলে বুঝবেন আপনি শিগগিরই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন। আর লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আসুন জেনে নেওয়া যাক…
১. অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা
রক্তপ্রবাহ কমে গেলে এবং রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এই লক্ষণটি দেখা দেয়।
২. ঝিমুনি
দেহে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনিও দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনির সৃষ্টি হয়।
৩. ঠাণ্ডা ঘাম
রক্তপ্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেতে ও ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হবে।
৪. বুক ব্যথা
বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যাথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বুকে ব্যথা এবং সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
৫. ঠাণ্ডা বা ফ্লু
হার্ট অ্যাটাকের শিকার অনেককেই এক মাস আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।
৬. শ্বাসকষ্ট
ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ না হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের সমস্যা থাকলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল কমে যায়। আর শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস ছোট হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা যায়।
৭. বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা
বমিভাব, বদহজম, বুক হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।