Subscribe:
Showing posts with label পাঁচমিশালী. Show all posts
Showing posts with label পাঁচমিশালী. Show all posts

ছেলেরা বয়সে বড় নারীদের বেশি পছন্দ করে, এটি কেন হয়?


প্রায়ই দেখা যায় টিনএজ ছেলেরা তাদের থেকে বয়সে বড় আপুদের বেশ পছন্দ করে থাকে, এটি কেন হয়?
আসলে টিনএজ বয়সটাতে বেশিরভাগ ছেলেদের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। বয়সে বড় কোনো আপুকে প্রচন্ডভাবে ভালোলেগে যায়। আপুর কথা বলার ঢঙ, চলার ভঙ্গি সবকিছুতেই মোহিত করতে থাকে টিনএজ ছেলেদের। বয়সের কারণে এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। আসুন জেনে নিই এর পিছনে কারণ কী কী থাকতে পারে।
কারণ :
– টিনএজ বয়সটা ভালোলাগার একটি বয়স। এসময়ে ভালোলাগার এক ধরনের বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়। ফলে বয়সে বড় হোক বা ছোট হোক মেয়েদের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ অনুভব করতে থাকে ছেলেরা।
– টিনএজ বয়সের শারীরিক পরিবর্তনে ছেলেরা অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে। এ সময় শারীরিক এক ধরনের আকর্ষণ তাদের দুর্বল করে তোলে। ফলে খুব সহজেই আপুদের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়।
– একই বয়সের মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনটি ওভাবে টিনএজ ছেলেদের চোখে পড়ে না। ফলে সুন্দর গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আপুদেরকেই তাদের বেশি ভালোলাগে।
– এ সময়টাতে বয়সে বড় আপুরাই তাদের চারপাশে বেশি থাকার ফলেও এই আকর্ষণটি অনুভূত হতে পারে। ধন্যবাদ

বড়লোক হতে চান ? মেনে চলুন এই ১০টি উপায়!!


সাধারণ জীবনযাপন থেকে আমরা সবাই বড়লোক হতে চাই। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেই তো আর হয় না, কিছু উপায় করতে হয়। জেনে নিন বড়লোক হওয়ার দশ উপায়–
১০) আগে ঠিক করুন কোন ধরনের বড়লোক হতে চান– আগে ঠিক করুন কোন ধরনের বড়লোক হতে চান। মানে ব্যবসার মাধ্যমে নাকি চাকরি করে। বড়লোক মানে প্রচুর টাকার মালিক নাকি বড় মনের মানুষ। সে সবগুলো আগে ঠিক করুন। ব্যবসা করে বড় কিছু করতে হলে ধাপে ধাপে ওঠার চেষ্টা করুন। লাভের টাকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিনিয়োগ করুন। একটা ব্যবসায় আটকে না থেকে ধীরে ধীরে অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। চাকরি করে বড়লোক হতে হলে আগে টিম লিড করতে শিখুন। কাজের পাশাপাশি নতুন আইডিয়া নিয়ে আসুন। অফিসের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বসকে নিজের কাজের ভাল দিকটা বোঝানোর চেষ্টা করুন–
৯) স্বপ্ন দেখুন দোষ নেই, কিন্তু সবার আগে সঠিক পরিকল্পনা করুন– বড়লোক হব এমন স্বপ্ন দেখাটা ভাল। হ্যাঁ, ছেঁড়া কাঁথাতে শুয়ে থেকেও লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাও ভাল। কারণ আগে কোনও কিছু করতে হলে স্বপ্ন দেখতে হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে আগে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। ডায়েরিতে সময় ঠিক করে পরিকল্পনা করুন। ধরুন লিখলেন এক বছরের মধ্যে এক লাখ টাকা জমাতে চান। তারপর স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ। দশ মাস পর হিসেব করে নিন পরিকল্পনা ঠিক দিকে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না।
৮) সময়কে কাজে লাগান, বিনিয়োগ করার আগে ভাবুন-দিনের ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করে নিন। রোজগার করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি করতে হবে সময় পরিকল্পনা। ধরা যাক আপনি চাকরি করেন। মানে ৯-১০ ঘণ্টা আপনি কাজে ব্যস্ত, তারপরের সময়টা কাজে লাগান। ছোট কোনও ব্যবসা থেকে শুরু করুন। টিউশনিও খারাপ অপশন নয়। যে অতিরিক্ত সময়টা কাজ করছেন সেই টাকাটা বিনিয়োগ করুন। ভুলে যাবেন না বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু হয়।
৭) চোখ কান খোলা রাখুন, রোজগারের পন্থা আসতে পারে যে কোনও জায়গা থেকে– সব সময় চোখ কান খোলা রাখুন। যে কোনও আলোচনা থেকে বড় কোনও রোজগারের একটা দিশা তৈরি হতে পারে। কখনও ভাববেন না ওটা আমার কাজ নয়। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ পর্যন্ত বলেছেন, চোখ কান খোলা না থাকলে তিনি কখনই ফেসবুক খুলতে পারতেন না। ইন্টারনেটটা খুব ভাল করে ঘেঁটে ফেলনু। গোটা দুনিয়াটা লুকিয়ে আছে নেট দুনিয়ায়। সেখান থেকে রোজগারের পন্থা বের করুন। মাথা খাঁটান।
৬) পড়াশোনা, কোর্স করে নিজের যোগ্যতা বাড়ান, এতে পদোন্নতি হবে সবদিকে– পড়াশোনা চালিয়া যান। আপনার যা যোগ্যতা সেটা সবসময় বাড়িয়ে চলুন। বিএ পাশ হলে এমএ করুন। মাস্টার ডিগ্রি থাকলে পিএইচি করুন। যুগপোযোগি কোর্স করুন। এতে একদিকে আপনার সিভি ভারী হবে, আপনার যোগ্যতা বাড়বে। তার চেয়েও বড় কথা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। রোজগারের আরও অনেক পথ বাড়বে। বিভিন্ন কোম্পানিতে লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব আসবে।
৫) শুধু পছন্দসই চাকরি নয়, চাকরির জায়গাটাকেও গুরুত্ব দিন–শুধু পছন্দসই চাকরিতে পেয়েছেন বলেই আত্মহারা হবেন না। চাকরির জায়গাটাও গুরুত্ব দিন। ধরুন আপনি চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাহলে চেষ্টা করুন এই কাজের সেরা জায়গায় কাজ করতে। এটা ঠিক যোগ্যতা থাকলে যে কোনও জায়গা থেকে উজ্জ্বল হওয়া যায়। তবে এটাও ঠিক অনেক সময় পেশাদার আবহ আপনার কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেয়। তাই একেবারে সেরা জায়গায় কাজ করলে আপনার সেরাটা দেওয়া যায়। তাই সেরাটা পাওয়ায় যায়।
৪) একই চাকরিতে বছরের পর বছর আটকে না থেকে ভাল সুযোগ পেলে নতুন জায়গায় যান– বছরের পর বছর একই কোম্পানিতে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু এই কথা ভেবে ‘যাক চলে যাচ্ছে, রোজগার তো করছি, খেতে তো পাচ্ছি’। এভাবে না ভেবে সুযোগ তৈরি করুন, সুযোগ কাজে লাগান। কোম্পানি পরিবর্তন করলে একদিকে মাইনে, পদ বাড়ে, অন্যদিকে বাড়ে আত্মবিশ্বাস, আসে নতুন কিছু করার মানসিকতা। তাই ভাল সুযোগ পেলে নতুন জায়গায় যান।
৩) খরচের জায়গাগুলো একটু ভাল করে খেয়াল করুন–আপনি হয়তো ভাল রোজগার করছেন। কিন্তু মাসের শেষে দেখছেন সেই ভাঁড়ে মা ভবানি অবস্থা। তাহলে এক কাজ করুন দেখুন তো আপনার খরচগুলো ঠিক কোথায় কোথছায় হচ্ছে। আচ্ছা, আপনার লাইফস্টাইলটা কী একটু বড়লোকি হয়ে যাচ্ছে না। হয়তো এর চেয়ে একটু কম খরচ হলেও আপনার চলে যায়। এসবই আপনি বুঝতে পারবেন যদি খরচের জায়গাগুলো একটু লিখে রাখেন। দেখবেন পরে চোখ বোলালে বুঝবেন কোন জায়গাগুলো একটু চেক করতে হবে।
২) ব্যতিক্রমি কিছু ব্যবসা-বিনিয়োগের কথা ভাবুন– দুনিয়ার বেশিরভাগ বড়লোক মানুষই ব্যতিক্রমী কিছু ভাবনার ওপর ভর করে ব্যবসা করেই নিজেদের ওপরে নিয়ে গিয়েছেন। আচ্ছা একবার ভাবুন scotch brite-এর কথা। আগে তো আমারা এমনি ন্যাকড়া দিয়েই বাসনপত্র মাজতাম। কিন্তু কেউ একজন ভেবেছিলেন এমন একটা কিছু আনতে হবে যা দিয়ে ন্যাকড়াকে বদলে অ্য অভ্যাস করানো যায়। কিংবা ধরুন আজকালকার অনলাইন শপিং। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মালিকরাও ব্যতিক্রমি ভেবেছিলেন। আপনিও ভাবুন, পড়ুন, দেখুন। নতুন ব্যবসার ভাবনা লুকিয়ে আছে আমাদের চোখের সামনে, শুধু আমরা সেটা দেখতে পারছি না। এই ভাবনা, আর তারপর সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ওপরেই আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
১) টাকার পিছনে ছুটবেন না, টাকাকে নিজের পিছনে ছোটান– বড়লোক হতে গেলে টাকার পিছনে ছুটলেই চলে না। দেখবেন ঠিক পরিকল্পনা করে চলে টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে। আচ্ছা নিন একটা ঘটনমা বলি। বিল গেটসের। বিল গেটস একদিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন লেকচার দিতে। অনেক কথা ছাত্রদের সঙ্গে শেয়ার করার পর যখন বিলের বক্তৃতা শেষ হল, তখন হঠাত্‍ই তাঁর পকেট থেকে ১০ ডলার পরে গেল। বিল কিন্তু সে টাকাটা কুড়োলেন না। সবাই তখন অবাক হয়েছিলেন। বিল কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ওই টাকা কুড়োতে যত সময় খরচ হল, ওই সময় ব্য করে তিনি তার চেয়ে বেশি টাকা রোজগার করতে পারেন। নিজেকে এমনভাবেই তৈরি করুন। শুধু টাকার পিছনে ছুটবেন না। সময়কে, কাজকে উপভোগ করে কাজ করুন।

এক ডিমের দাম ২০৮৪ টাকা!দেখে নিন কি ছিল এই ডিমের ভিতর।


অবাক কাণ্ড! এক ডিমের দাম নাকি ২০৮৪ টাকা! কিন্তু সেই ডিম উপহার পেয়ে সমস্যা প্রকট যে হতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেননি শার্লট হ্যারিসন।
সম্প্রতি অনলাইন সংস্থা ‘ই-বে’ থেকে একটি ডিম কিনে শার্লটকে উপহার দেন তার বাবা। ডিমটির দাম নিয়েছিল ২৫ পাউন্ড।
ডিমটি ছিল আসলে একটু অন্যরকম। প্রথমে শার্লট বুঝতে পারছিলেন না যে, ডিমটিকে নিয়ে কী করবেন তিনি।
এরপর সেই ডিমটিকে নিজের বাড়িতেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে দিয়েছিলেন শার্লট। এর ঠিক ৪৭ দিন পর ঘটে সেই অদ্ভুত ঘটনা। ডিম ফুটে বের হয়ে আসে এমু পাখির বাচ্চা।
বাচ্চা এমু পাখিটিকে সযত্নে লালন পালন করতে থাকেন শার্লট। আদর করে তিনি পাখিটির নাম দেন কেভিন।
ধীরে ধীরে বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গেও বেশ ভালোভাবে মিশে যায় কেভিন। কিন্তু বাদ সাধে অন্য জায়গায়।
১ মাস পর কেভিনকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভিডিও পোস্ট করেন শার্লট।
ব্যাস, সেই ভিডিওটি দেখেই শার্লটের বাড়িতে নোটিস পাঠায় রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস। পাখিটিকে তাদের অফিসারদের হাতে তুলে দিতে বলা হয়।
এখন সেই এমুটি একটি স্পেশালিস্ট ফার্মে রয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা করলেন আরএসপিসিএ-এর আধিকারিকরা?
তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কেভিন এখন ছোট। কিন্তু একদিন সে বড় হবে। ছোট্ট পাখিটি এক সময় ৬ ফুট লম্বা হয়ে যাবে। তখন শার্লটের তিন বেডরুমের বাড়ি কেভিনের জন্য যথেষ্ট হবে না।
এমুর নিবাস অস্ট্রেলিয়া। উটপাখির পর পাখির সংসারে এরাই দ্বিতীয় বৃহত্তম। প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এরা।
তবে বড় হয়ে গেলে এরা হিংস্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই এমুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাংলায় নামের প্রথম অক্ষর কী বলে আপনার চরিত্র সম্পর্কে, জেনে নিন!!


অ: এঁরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী৷ প্রেমে আস্থা রাখেন৷ তবে সংসারের একঘেয়ে বাঁধন পছন্দ করেন না। এঁরা খেতে ভালবাসেন।
আ: এঁরা অত্যন্ত অহংকারী৷ প্রেমিক হিসেবে একেবারেই বিশ্বস্ত নন৷ কাজের ক্ষেত্রেও এঁরা খুব চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন।
ই: এঁরা দ্বিমুখী স্বভাবের৷ যেমন দেখান, এঁরা আদতে সেই রকম হন না। নিজের আবেগ প্রকাশ করতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না৷
ঈ: প্রিয়জনের থেকে উপহার পেতে ভালেবাসেন৷ কখনও বা একটু আদুরে গোছের৷ সকলকে নিয়ে চলতে ভালবাসেন।
উ: খুব বেশি কথা বলতে ভালেবাসেন৷ অসততা অপছন্দ৷ এঁদের মধ্যে শিল্প-প্রতিভা দেখা যায়। কাজের ক্ষেত্রে মনযোগী।
ঊ: এঁরা সাধারণত রোমান্টিকতায় নেই৷ সঙ্গীর শারীরিক আকর্ষণ এঁদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ধৈর্য্য কম।
ঋ: এঁদের কাছে নিজের সঙ্গী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ সঙ্গী পছন্দের ব্যাপারে এঁরা খুবই খুঁতখুতে।
এ: শারীরিক আকর্ষণ খুব একটা জরুরি মনে করেন না। নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে। সম্পর্ক নিয়ে সচেতন।
ঐ: সামাজিকতা সম্পর্কে এঁরা খুব সচেতন৷ সবার সঙ্গে মিশলেও এঁরা সঙ্গী নির্বাচন নিয়ে খুব খুঁতখুতে। অর্থকেই জীবনের সবকিছু মনে করেন না।
ও: কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন। রুচিশীল হন। আদর্শবাদী, রোমান্টিক এবং একইসঙ্গে সংবেদনশীল৷
ঔ: সাধারণত এই বর্ণ দিয়ে কোনও নামের শুরু হয় না।
ক: মিষ্টি স্বভাবের। এক সঙ্গে দুটো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন। কর্মক্ষেত্রেও এঁদের মধ্যে এই গুন দেখা যায়।
খ: এঁরা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা৷ সম্পর্কের মধ্যে কোনও স্পেস পছন্দ করেন৷ মাঝে মাঝেই এঁরা খুব ছটফটে৷
গ: অত্যন্ত রোমান্টিক৷ প্রেমিকাকে আগলে রাখাই আপনার জীবনের লক্ষ্য৷ কাজের ক্ষেত্রে খুব খুঁতখুতে।
ঘ: এঁরা সাধারণত রোমান্টিকতায় নেই৷ তবে যৌনতায় আছেন। সঙ্গীর শারীরিক আকর্ষণ এঁদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ধৈর্য্য কম।
ঙ: বাংলায় এই বর্ণ দিয়ে কোনও নাম শুরু হয়।
চ: রোমান্টিক৷ প্রিয়জনের থেকে উপহার পেতে ভালেবাসেন৷ কখনও বা একটু আদুরে গোছের৷ সকলকে নিয়ে চলতে ভালবাসেন।
ছ: সম্পর্কের মূল্য দেন৷ আন্তরিকতা পছন্দ করেন৷ খুব সংবেদনশীল হন৷ হইচই করে সময় কাটাতে ভালবাসেন।
জ: যেটা মনে মনে চান সেটা আদায় করেই ছাড়েন৷ স্বভাবগত দিক থেকে খুব কেয়ারিং৷ উচ্চাকাঙ্খী হওয়ার পাশাপাশি পরশ্রীকাতর৷
ঝ: আনন্দ, বিলাস ভালবাসেন৷ সম্পর্কের ব্যাপারে খুব একটা বিশ্বস্ত নন৷ তবে অত্যন্ত পরিশ্রমী।
ঞ: বাংলায় এই বর্ণ দিয়ে কোনও নাম শুরু হয় না।
ট: খুব বেশি কথা বলতে ভালেবাসেন৷ অসততা অপছন্দ৷ এঁদের মধ্যে শিল্প-প্রতিভা দেখা যায়। কাজের ক্ষেত্রে মনযোগী।
ঠ: এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয় তাঁরা আদর্শবাদী ও রোমান্টিক। তবে এঁদের মন খুব স্পর্শকাতর। জীবনে সাফল্য পান।
ড: ভীষণ খুঁতখুঁতে প্রকৃতির৷ খুব পরিশ্রমীও হন এরা৷ লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রচণ্ড খাটতে পারেন৷ জীবনে কোনও কিছুকেই অসম্ভব মনে করেন না।
ঢ: এঁদের মধ্যে স্নেহ, মমতা রয়েছে৷ সাধারণত মানসিকভাবে খুব দৃঢ় হন। এদের সহজে সন্তুষ্ট করা যায় না৷
ণ: বাংলায় এই বর্ণ দিয়ে কোনও নামের শুরু হয় না।
ত: এঁরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী৷ প্রেমে আস্থা রাখেন৷ তবে সংসারের বাঁধন পছন্দ করেন না। এঁরা খেতে ভালবাসেন।
থ: এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু তাঁরা লাজুক প্রকৃতির৷ তবে খুব বেশি ছক করে, প্ল্যান করে চলতে ভালবাসেন৷
দ: এঁরা খুব রোমান্টিক৷ এঁদের কাছে নিজের সঙ্গী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ সঙ্গী পছন্দের ব্যাপারে এঁরা খুবই খুঁতখুতে।
ধ: এঁরা দ্বিমুখী স্বভাবের৷ যেমন দেখান, এঁরা আদতে সেই রকম হন না। নিজের আবেগ প্রকাশ করতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না৷
ন: এঁরা আবেগপ্রবণ৷ সম্পর্কের গভীরতা বোঝেন৷ সবকিছুতেই হাত পাকাতে পছন্দ করেন৷ আপনার মধ্যে দয়া-মায়া রয়েছে৷
প: স্বভাবের দিক থেকে হাসিখুশি। এঁরা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মজাদার আচরণ করলেও মনের বেদনা প্রকাশ করেন না।
ফ: সামাজিকতা সম্পর্কে এঁরা খুব সচেতন৷ সবার সঙ্গে মিশলেও এঁরা সঙ্গী নির্বাচন নিয়ে খুব খুঁতখুতে। অর্থকেই জীবনের সবকিছু মনে করেন না।
ব: সবসময় কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসেন৷ অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা খুব পছন্দের৷ বিশেষ করে বিপরিত লিঙ্গের প্রতি।
ভ: শারীরিক আকর্ষণ খুব একটা জরুরি মনে করেন না। নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে। সম্পর্ক নিয়ে সচেতন।
ম: আদর্শবাদী, রোমান্টিক এবং একইসঙ্গে সংবেদনশীল৷ কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন।
য: খুব সংবেদনশীল৷ ব্যক্তিগত স্পেসে কাউকে ঢুকতে দেন না৷ প্রেমে পড়লেও খুব একটা অনুভূতি প্রকাশ পছন্দ নয়৷
র: প্রেমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন৷ প্রেমহীন জীবনের কল্পনাও করতে পারেন না৷ কাজের ক্ষেত্রেও এঁরা খুব চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন।
ল: এঁরা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা৷ সম্পর্কের মধ্যে কোনও স্পেস পছন্দ করেন৷ মাঝে মাঝেই এঁরা খুব ছটফটে৷
শ: এঁরা অত্যন্ত অহংকারী৷ প্রেমিক হিসেবে একেবারেই বিশ্বস্ত নন৷ কাজের ক্ষেত্রেও এঁরা খুব চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন।
ষ: একসঙ্গে দুটো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন। কর্মক্ষেত্রেও এঁদের মধ্যে এই গুন দেখা যায়।
স: কোনও কিছু মনের মতো না হলে তা ছেড়ে দেন৷ প্রতিযোগিতার দৌড়ে সামিল হওয়া খুব পছন্দের৷
হ: অত্যন্ত রোমান্টিক৷ প্রেমিকাকে আগলে রাখাই আপনার জীবনের লক্ষ্য৷ কাজের ক্ষেত্রে খুব খুঁতখুতে।

প্রধানমন্ত্রী হলে সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলব : হিরো আলম


প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার হিরো আলম। শুক্রবার দুপুরে একটি রেডিও চ্যানেলের লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেডিও জকি জানতে চান, মন্ত্রী হলে আপনি কী করবেন?
উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি মন্ত্রী হতে চান না। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলে তিনি সাত দিনেই দেশ ঠিক করে ছাড়বেন। ‘ এসময় হিরো আলম ভারতীয় অভিনেতার মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘ফাটাকেষ্ট’ ছবির কথা
উল্লেখ করেন। বলেন, আপনি ‘ফাটাকেষ্ট দেখেননি? ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই দেশ ঠিক করে ফেলবো।
রেডিও জকি হিরো আলমকে নেচে দেখাতে বলেন। উত্তরে হিরো আলম বলেন, ‘তিনি নাচতে আগ্রহী নন। তবে সুযোগ পেলে বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনের সঙ্গে নেচে দেখাবেন তিনি। ‘
মানুষের খারাপ মন্তব্য, সমালোচনা কীভাবে নেন জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘এগুলো আমার খুব ভালো লাগে। কারণ গালি দিতে হলে আমার নামটা আগে মুখে নিতে হয়। তার মানে ওই ব্যক্তির মাথায় ‘হিরো আলম’ শব্দটা কাজ করে। সে আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই এটা করে। ‘
‘মার ছক্কা’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় হিরো আলমের অভিষেক হচ্ছে। ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য আছে বলে জানান হিরো আলম। রেডিও জকি প্রশ্ন করেন, ‘এমন ছিপছিপে শরীর দিয়ে কীভাবে অ্যাকশন দৃশ্য অভিনয় করেছেন? এটা কীভাবে সম্ভব?’ হিরো আলম বলেন, ‘পারি আর না পারি সামনে আগাইয়া যাব। পরে যা হওয়ার হয়ে যাবে।’
কে এই হিরো আলম?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে চর্চিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো হিরো আলম। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে আলমের ভিডিও ও ছবি। কিন্তু কে এই হিরো আলম?
সিডি বিক্রি করতেন আশরাফুল আলম। সেটা বেশ আগের ঘটনা। সিডি যখন চলছিল না তখনই মাথায় আসে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসার। ভাবলেন নিজ গ্রামেই সেটা করবেন, এবং করে ফেললেন। বগুড়ার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া গ্রামেই শুরু হয় আলমের ডিশ ব্যবসা।
ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনের সাথে চলা আলমের পরিবার তাকে আরেক পরিবারের হাতে তুলে দেয়। আলম চলে আসেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাসায়। আব্দুর রাজ্জাক তাকে ছেলের মতো করেই বড় করে তোলেন। স্নেহ করতেন।
কিন্তু গ্রামে অভাব তো প্রায় মানুষের আছে। আলমের পালক পিতা আব্দুর রাজ্জাকের সংসারও অভাবের ছোঁয়া পায়। স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আলমকে নেমে পড়তে হলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। সিডি বিক্রি থেকে আলম ডিশ ব্যবসায় হাত দিয়ে সফলতা অর্জন করেন। তার মাসে আয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন আলম।

কালের কণ্ঠকে আলম বলেন, ”আমি আমার গ্রামের সবার ভালোবাসা পেয়েছি। এই ভালোবাসা আমাকে নিজের হাতে করে খেয়ে বাঁচতে শিখিয়েছে। এখন আমার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুখেই আছি। ”
সিডির ব্যবসা করতেন আলম। ক্যাসেটে দেখতেন মডেলদের ছবি। সেই থেকে মাথায় ঢোকে মডেল হওয়ার। ২০০৮ সালেই করে ফেলেন একটা গানের সাথে মডেলিং। সেটাই ছিল শুরু। এরপরে সেসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সংসারে মনোযোগী হন। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন পাশের গ্রামের সুমী নামের এক তরুণীকে। আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও সুমী পড়েছেন এসএসসি পর্যন্ত। তাদের সংসারে আসে নতুন দুই অতিথি। নিজের নামের সাথে মিলিয়ে রাখেন সন্তানদের নাম। পুত্র আবির ও কন্যা আলো। এখন সংসার আর ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত আলম। পাশাপাশি নিজে কিছু মিউজিক ভিডিও করেন। সেগুলো নিজের ক্যাবল চ্যানেলেই প্রচার করেন। গ্রামের মানুষরাও তাকে বাহবা দেয়। আলম উৎসাহ পান।
আলম বলেন, আমার মডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল আগে। যখন সিডি বিক্রি করতাম। আমি জানি না এসব ইচ্ছে পূরণ হয় কি না, তবে লেগে ছিলাম। হয়েছে। অনেকে বলে বাজে হয়েছে আমি কান দেই না। অনেকে আবার বলে ভালোই হয়েছে। আমি গ্রামের ছেলে মন যা চায় করি। মানুষের কথায় কান দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আলম সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, ”আলম ছেলে খারাপ না। কষ্ট করে বড় হয়েছে আলম। সে গান গাইতে পারে না, নাচতেও পারে না। তবে তার মডেলিং এর শখ আছে এটা জানি। ”
এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ”আলম সম্পর্কে জানি সে ডিশ ব্যবসা করে। নির্বাচনও করে। দুইবার দাঁড়িয়েছিল। হেরে গেছে। তবে এলাকার মানুষজন তাকে পছন্দ করে। নির্বাচনে এবার সে দ্বিতীয় হয়েছে। ছেলে হিসেবে খারাপ না, তবে শুনছি মডেলিং-এর দিকে তার ঝোঁক। ”
আশরাফুল আলম কালের কণ্ঠকে নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ”আমি এবার মাত্র ৭০ ভোটে হেরেছি। এর আগেরবারও হেরেছি অল্প ভোটে। তবে এলাকার মানুষের ভালোবাসার জন্য আমি আরেকবার নির্বাচন করবো। আমি বলেছিলাম আর দাঁড়াবো না, কিন্তু ভালোবাসার জন্য পরেরবার আরেকবার দাঁড়াবো। ”
মডেলিং সম্পর্কে আলম বলেন, ”আমার ভিডিওগুলো ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে যাওয়ায় এখন অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে দুটি মিউজিক ভিডিও করার জন্য রাজি হয়েছি। আজ রাতে ঢাকা যাচ্ছি। ” কার সাথে, কিসের মিউজিক ভিডিও এমন প্রশ্নের জবাবে আলম জানান, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ছবির সজলের সাথে কাজ করার কথা। ”সজল ভাই আমাদের বগুড়ার ছেলে। ”
হিরো আলম কি সুপারস্টার? 
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিরো আলমকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে দেওয়া হ্যাশট্যাগসংবলিত কয়েকটি টুইট ও স্ট্যাটাস
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন ‘হিরো আলম’। এবার শুধু দেশেই নয়, পাশের দেশ ভারতেও তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ভারতীয়রা হিরো আলমকে বাংলাদেশের ‘সুপারস্টার’-এর তকমা দিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এই তকমার ভিত্তিতে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করতে শুরু করেছে।
দেশের বাইরে হিরো আলমের নাম ছড়িয়ে পড়ে যখন তিনি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি পত্রিকা। সেই ছবি ও প্রতিবেদনের জের ধরে ১৬ ডিসেম্বর বিবিসি হিন্দি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিরো আলমকে নিয়ে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি একে একে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমগুলোতেও তিনি খবরের শিরোনাম হন। জি নিউজ, এনডিটিভি, ডেইলি ভাস্কর, মিড-ডের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করে। সেখানে অনেকেই হিরো আলমকে বাংলাদেশের বিনোদনজগতের অন্যতম তারকা বলে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, এ পর্যন্ত ৫০০ মিউজিক ভিডিও এবং র‍্যাপ গান তৈরি করেছেন হিরো আলম। তাঁর ফেসবুকের অনুসারীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো তাঁকে তারকা বলে ধরে নিয়েছে। এ জন্যই মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে গুগলে হিরো আলমকে সালমান খানের চেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও শুনেছি। এ জন্যই বিদেশ থেকে ভক্তদের ফোন আসছে অনেক।’
তবে এ ধরনের প্রচারের কারণে বাংলাদেশের শিল্পীদের ব্যাপারে যে নেতিবাচক বার্তা ভারতে যাচ্ছে, তা নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। টুইটার ও ফেসবুকে ‘হিরো আলম’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অনেকেই শেয়ার করছেন নানা ধরনের আপত্তিকর কৌতুক। এর সঙ্গে অনেকে আবার হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশি অ্যাক্টর’ প্রসঙ্গটিও জুড়ে দিচ্ছেন। হিরো আলমের সঙ্গে ভারতীয়দের কৌতুকের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও দেশের শিল্পীদের ভাবমূর্তিও। ইউটিউবে প্রকাশিত হিরো আলমের মিউজিক ভিডিওতে তাঁর ব্যক্তিত্ব, অভিব্যক্তি ও বাচনভঙ্গি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন পেজ ও গণমাধ্যম রসিকতা করছে। গুটি কয়েক গণমাধ্যম হিরো আলমকে ‘সামাজিক মাধ্যমের তারকা’ বলে আখ্যায়িত করছে বটে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তাঁকে বাংলাদেশের বিনোদনজগতের তারকার কাতারেই ফেলছে এবং গুগলে তাঁকে খুঁজেই যাচ্ছে।এই খোঁজাখুঁজিতে হিরো আলম হয়তো বহুদূর যেতে পারবেন, কিন্তু এতে বাংলাদেশের শিল্পীদের ভাবমূর্তি বাইরের দেশে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আলোচিত হয়ে উঠতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ব্যক্তিত্ব। সেই শঙ্কার কথাই জানালেন গণমাধ্যম বিশ্লেষক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে ভারতে আমাদের চ্যানেল দেখা না যাওয়ার প্রভাব এবং আমাদের সিনেমা সেখানে নিয়মিত প্রদর্শিত না হওয়ার প্রভাব। যেকোনো লোক যেকোনো কিছু ক্লেইম করতে পারে। সমস্যাটির সমাধান হতে পারে ওই দেশে আমাদের টিভি অনুষ্ঠান-সিনেমা নিয়মিত প্রদর্শিত হলে। নইলে এ রকম বহু হিরো আলম বের হবে ভবিষ্যতে।’
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলায় স্থানীয় কেব্‌ল সংযোগ স্থাপনের ব্যবসা রয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের। সেই সুবাদেই তিনি নিজের স্থানীয় সংযোগগুলো প্রচারের জন্য কিছু মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছিলেন বিভিন্ন সময়। যা এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে হিরো আলমের ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল ও মিম। কিন্তু এখন দেশের বাইরেও বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রতিনিধি হিসেবে হিরো আলমের নাম ছড়িয়ে পড়ায় সেই কৌতুক শঙ্কায় পরিণত হচ্ছে।

হাতে রয়েছে এমন ‘এক্স’ চিহ্ন? তা হলে তো আপনি বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী ….!!


সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।
করোষ্ঠী বিচার বা হস্তরেখা বিচার শাস্ত্র মনে করে, মানুষের ভাগ্য এবং ব্যক্তিত্ব তার হাতের রেখাতেই মুদ্রিত থাকে। সেই শাস্ত্র আরও মনে করে, হাতের তালুতে রেখার দ্বারা গঠিত কয়েকটি বিশেষ চিহ্ন বিরল সৌভাগ্যের ইঙ্গিত দেয়। তেমনই একটি সৌভাগ্যসূচক চিহ্ন হল ‘এক্স’ চিহ্ন।
কী এই ‘এক্স’ চিহ্ন? আসলে হাতের বিভিন্ন রেখার মধ্যে এক একটি রেখার এক একটি নাম রয়েছে। নিজের হাতের তালুর দিকে তাকান। দেখবেন, আড়াআড়ি তিনটি রেখা অত্যন্ত স্পষ্ট এবং প্রকট হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আঙুলের দিক থেকে প্রথম রেখাটির নাম হৃদয় রেখা, দ্বিতীয় রেখাটির নাম মস্তিস্ক রেখা, তৃতীয় রেখাটির নাম জীবন রেখা। আর উপরে-নীচে বিস্তৃত যে রেখাটি এই তিনটি (কিংবা দু’টি) রেখাকে ছেদ করছে, সেটির নাম ভাগ্য রেখা (ছবি দেখুন)।

এ বার ভাল করে তাকান নিজের হাতের তালুর দিকে। বিশেষ মনোযোগ দিন উপর থেকে দ্বিতীয় রেখা অর্থাৎ মস্তিস্ক রেখার দিকে। দেখুন তো, ভাগ্য রেখা (লম্বালম্বি রেখাটি) কি এমন ভাবে ছেদ করছে হৃদয় রেখাকে, যাতে এই দুই রেখার সংযোগ স্থলে ইংরেজি এক্স (X)-এর মতো একটি চিহ্ন তৈরি হয়? হয়েছে? বেশ। এ বার তাকান, অন্য হাতের তালুর দিকে। সেখানেও কি একই ভাবে মস্তিস্ক রেখা এবং ভাগ্য রেখার সংযোগস্থলে একটি ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে? যদি থাকে, তা হলেই কেল্লাফতে।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দু’ হাতেই এই জাতীয় চিহ্নের উপস্থিতি বিশেষ সৌভাগ্যকে সূচিত করে। যাঁদের হাতে এই ধরনের চিহ্ন থাকে, তাঁরা শুধু যে শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরোগ দেহের অধিকারী হন, তা-ই নয়, পাশাপাশি তাঁদের মানসিক দৃঢ়তাও হয় অতুলনীয়। তাঁদের ভাগ্য তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী আকার ধারণ করে। ফলে সর্ব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন তাঁরা। এতটাই খ্যাতি এবং যশ তাঁরা অর্জন করেন যে, তাঁদের মৃত্যুর পরেও বিশ্ববাসী তাঁদের মনে রাখে।

মস্কোর এসটিআই ইউনিভার্সিটি-র গবেষকদের প্রকাশিত ‘এক্স পাম মিস্ট্রি অ্যান্ড স্পিরিট সায়েন্স ফর্মুলা’ নামের গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, পৃথিবীর মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের দুই হাতেই এই চিহ্ন থাকে। গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা দেখিয়েছেন, সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল। কাজেই আপনিও যদি এই ৩ শতাংশ মানুষের অন্তর্ভুক্ত হন, তা হলে আপনিও নিজের ভাগ্য নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
এ ছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করে,

১. যাঁদের হাতের তর্জনীর নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন থাকে, তাঁদের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থলাভের যোগও তাঁদের রয়েছে।

২. যাঁদের মধ্যমার নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে, দুর্ভাগ্য এবং অসুস্থতা তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে সারা জীবন।
৩. যাঁদের হাতে ‘এক্স’ চিহ্নের অবস্থান অনামিকার নীচে, বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ব্যর্থতা, অর্থহানি, এবং অবসাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।

৪. আবার কড়ে আঙুলের নীচে অবস্থিত ‘এক্স’, সেই ব্যক্তির চারিত্রিক অসততার লক্ষণ।
 হাতের লেখা দেখে মানুষ চেনার উপায়: 
হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য দেখে ব্যক্তিত্ব বোঝার বিজ্ঞানকে বলে গ্রাফোলজি। এই বিজ্ঞানের চর্চা চলছে সেই অ্যারিস্টটলের সময় থেকে। বর্তমানে অসংখ্য প্রয়োজনে এর প্রয়োগ ঘটে। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্যগত তথ্য পেতেও এর ব্যবহার রয়েছে। গ্রাফোলজিস্ট ক্যাথি ম্যাকনাইট জানান, কেবল হাতের লেখা বিশ্লেষণ করেই মানুষের ৫ হাজার রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের করা সম্ভব। এখানে বিভিন্ন ধরনের হাতের লেখার সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিন। এখানে ছবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা ও তার সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন।
১. অক্ষর ও শব্দের আকার : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বুঝতে ও খেয়াল করতে চান। আর দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার মনোযোগ অতি সূক্ষ্ম। আর আপনি অন্তর্মুখী।
২. হেলানো : ওপরের লেখার বোঝা যায়, আপনি হৃদয়কেন্দ্রিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বন্ধু ও পরিবারের মূল্যায়ন করে।
মাঝখানের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যুক্তি দিয়ে চলেন, আবেগ দিয়ে নয়। আর নিচের লেখায়া প্রকাশ পায়, বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মানুষের ওপর কাজ করতে চান আপনি। বার বার দেখে নেন সবকিছু।
৩. চাপ প্রয়োগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আবেগ অনেক গভীর এবং সবকিছু চরমভাবে অনুভব করেন। খুব বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বিভিন্ন স্থানে আপনি সহজ ও স্বাবলীল থাকেন। আবেগ দিয়ে পরিচালিত হন না।
৪. ওপরের অংশ : প্রথম লেখায় স্পষ্ট হয় যে, আপনি আশাবাদী এবং ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনি আপনার আশা ও স্বপ্ন চাপা দিতে পারেন। তৃতীয় লেখায় বোঝা যায়, সমালোচনায় স্পর্শকাতর আপনি। চতুর্থ লেখায় বোঝা যায়, আপনি কর্মী হিসাবে ভালো। গোছালো এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে আপনার মাঝে।
৫. নিচের অংশ : প্রথম লেখা বলে, আপনি সত্যিকার বন্ধু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার বন্ধুমহল অনেক বড়। তৃতীয় লেখা বলছে, আপনি ভ্রমণপিয়াসী। আর চতুর্থ লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি নিজ বাসায় থাকতে পছন্দ করেন।
৬. অক্ষরের সংযোগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যৌক্তিক, পদ্ধতি অনুযায়ী চলে এবং সাবধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিচের লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি বুদ্ধিমান ও স্বজ্ঞাত।
৭. ডটেড ‘আই’ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আচরণ শিশুসুলভ। আপনি শৈল্পিক। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি এলোমেলো অবস্থা পছন্দ করেন না। বিস্তারিত দেখতে ভালো লাগে।
৮. ‘টি’ এর ক্রস : ওপরে অক্ষরে বোঝা যায়, আপনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মবিশ্বাসী। নিচের অক্ষর স্পষ্ট করে যে, আপনার লক্ষ্য শক্ত নয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
৯. লাইনের মাঝের ফাঁকা অংশ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, সময়মতো কাজ করতে আপনি অদক্ষ। নিচের লেখা দেখে বোঝা যায়, সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনি সাবধান।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

‘স্মার্ট’ রিকশা চালকের আয়ও বেশি


ইস্ত্রি করা শার্টের সঙ্গে মিলিয়ে প্যান্ট, গলায় টাই, সানগ্লাসে ঢাকা চোখ, মাথায় ক্যাপ, হাতে ঘড়ি, আঙ্গুলে সোনার আংটি (রিং), পায়ে চকচকে জুতা (সু), আছে মোবাইলও।
এভাবেই রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদে পরিপাটি হয়ে লক্ষ্মীপুর শহরে রিকশা চালান মো. ফারুক (৩০)। প্রতিদিন স্মার্ট হয়ে শহরের অলি-গলিতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
স্থানীয়দের কাছেও তিনি তাই ‘স্মার্ট’ রিকশা চালক। তার রুচিশীল এসব পোশাক-আশাক ছাড়াও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা, বুদ্ধিমত্তা ও সুন্দর আচরণে মুগ্ধ সবাই।
ফারুক লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। মা-বাবা, স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে তার সংসার। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেশ কিছুদিন সামান্য বেতনে চাকরি করেন।
চাকরি ছেড়ে গত এক বছর ধরে লক্ষ্মীপুর শহরসহ আশেপাশের এলাকায় রিকশা চালাচ্ছেন ফারুক। স্মার্টনেসের পাশাপাশি দক্ষ চালক হওয়ায় শহরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণও করতে পেরেছেন দ্রুতই।
ফারুক বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণেই ব্যতিক্রমী এ সাজে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ‘স্মার্ট’ হয়ে কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণও হচ্ছে। ২০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকাও পেয়েছেন।
ফারুককে নিয়ে কৌতুহলও কম নয়। অনেকেই সেলফি তোলেন, কেউ কেউ শখ করে তার রিকশায় উঠে শহরে ঘোরেন, চায়ের আড্ডাও করেন।
তার ব্যাটারি চালিত এ রিকশায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ওঠেন। সময় করে স্ত্রী-সন্তানকে রিকশায় নিয়ে বেড়াতে বের হন ফারুক নিজেও।
ফারুক জানান, তার ৭/৮টি প্যান্ট, সমান সংখ্যক শার্ট, তিন জোড়া জুতা, তিনটি টাই ও শীতের জন্য দু’টি ব্লেজার আছে। এসব নিজের পছন্দে উপার্জিত টাকায় কেনা।
কলেজ ছাত্র শাকিল ও জামাল বলেন, ‘স্মার্ট ওই রিকশা চালককে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তিনি কাউকে বাড়তি ভাড়ার জন্য চাপ দেন না। তবে বেশিরভাগ যাত্রী নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা দেন’।
ফারুক বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বেশি বিক্রির আশায় তাদের দোকানকে ভালো সাজ-সজ্জায় নানাভাবে সাজান। আমিও তেমনি স্মার্ট হয়ে রিকশা চালিয়ে যাত্রী আকর্ষণের চেষ্টা করছি। পরিপাটি হয়ে চলতে নিজের কাছেও ভালো লাগে। এতে দু’দিকেই লাভ- যাত্রী ও ভাড়া বেশি মেলে, শরীর-মনও ভালো থাকে’।